অভ্যর্থনা জানায় নাফ নদীর গাঙচিল
সেন্টমার্টিনে যেতে প্রথমে পৌঁছতে হবে টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর জেটিঘাটে। টলটলে জলের বুক চিরে পর্যটকবাহী জাহাজ রওয়ানা হবে সেন্টমার্টিনে। এমন যাত্রাপথের শুরুতেই প্রাণভরা ভালোবাসা নিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে একদল পাখি। তারা নাফ নদীর গাঙচিল। ছবি তুলেছেন খায়রুল বাশার আশিক—
-
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ ছাড়ার পর থেকে প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগে সেন্টমার্টিন পৌঁছতে। জাহাজে অবস্থানকালে একজন পর্যটকের পুরোটা সময়ের সঙ্গী হয় এসব গাঙচিল। ছবি: খায়রুল বাশার আশিক
-
নাফ নদীর গাঙচিলের এমন অবাধ মিছিল, যে কোনো পর্যটকের মন ভরিয়ে তুলবে খুব সহজেই। ছবি: খায়রুল বাশার আশিক
-
গাঙচিলের মাথা-বুক ও পেটে ছাই রঙের ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। শরীরের পালকের রং সাদা। তবে একেবারে সাদা রঙের গাঙচিলও চোখে পড়ে। গাঙচিলের চোখ খুব স্বচ্ছ। এদের ঠোঁট এবং পায়ের রং লাল। ছবি: খায়রুল বাশার আশিক
-
গাঙচিলের ডানা অনেক লম্বা। ডানার অগ্রভাগে কালো রঙের বেশ বড় কিছু পালক রয়েছে। পানিতে সাঁতার কাটার সক্ষমতা থাকলেও এরা ডানায় ভর করে দীর্ঘসময় উড়ে চলতে পছন্দ করে। ছবি: খায়রুল বাশার আশিক
-
চরম ঢেউয়ের মধ্যেও এরা ছোট ছোট ভাসমান মাছ পানি থেকে খপ করে ধরে ফেলে। সেই মাছটাকে নিজের ঠোঁটে চেপে ধরে উড়ে চলে যায় নিজ গন্তব্যে। ছবি: খায়রুল বাশার আশিক
-
পর্যটকদের ছুঁড়ে দেওয়া খাবার খেতেই ওরা জাহাজের কাছে ছুটে আসে। অবশ্য পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া নির্দেশনায় পাখিদের প্রাকৃতিক খাবার ব্যতীত অন্য খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। কারণ এসব খাবার পাখিদের জীবন নাশের অন্যতম কারণ হতে পারে। ছবি: খায়রুল বাশার আশিক
-
দুধে আলতা রঙের সাদা পালকের এসব গাঙচিলের দিকে তাকালে মনে হবে, ওরা যেন প্রাকৃতিক ভালোবাসার নিষ্পাপ হাতছানি দিচ্ছে। ছবি: খায়রুল বাশার আশিক
-
নাফ নদী একটি সীমানাও বটে। এর এক তীরে মিয়ানমার ও অপর তীরে বাংলাদেশ। তবে এই পাখিরা জানে না এরা বাংলাদেশের নাকি মিয়ানমারের। ছবি: খায়রুল বাশার আশিক
-
প্রাণ-প্রকৃতির মধ্যেও যে কতটা সৌন্দর্য বিদ্যমান; সেই সাক্ষ্য দিতেই ওরা ছুটে আসে মানুষের খুব কাছাকাছি। প্রকৃতির অপার সাক্ষী এসব গাঙচিল। ছবি: খায়রুল বাশার আশিক