সাবেক বিচারপতি মামুন
ছোট দলের বড় নেতা আরেকটি ১/১১’র দিকে নিয়ে যেতে চান

ছোট দলের বড় নেতা দেশকে আরেকটি ওয়ান/ইলেভেনের দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন।
শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন অভিযোগ করেন। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন আবদুস সালাম মামুন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠকদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন।
মামুন বলেন, জাতি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোও একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসৃণ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। এ অবস্থায় কতিপয় তথাকথিত ছোট দলের বড় নেতা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে এবং দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অজুহাত তৈরি ও অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি তৈরি মাধ্যমে আবার একটি ওয়ান/ইলেভেনের দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন। জাতিকে এ পর্যায়ে সতর্ক হতে হবে, যেন তাদের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারে, এজন্য জাতিকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ছোট দলের বড় নেতা হিসেবে তিনি এলডিপির সভাপতি অলি আহমদকে ইঙ্গিত করছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে যারা রাজনীতি করছেন, যাদের দল ছোট হলেও নেতা হিসেবে বড় কিংবা বড় বলে দাবি করেন, তাদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলছি যে, জাতিকে বিভ্রান্ত করে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করলে পরিণামে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সুনামের ক্ষতি হবে। তার সুনামের বিনিময়ে ওয়ান/ইলেভেনের দিকে জাতিকে ঠেলে দিলে বিশ্বের রাজনীতিতে আমরা অনেক দূর পিছিয়ে যাবো।
- আরও পড়ুন
নির্বাচন বিলম্বিত করতে ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে: আবুল খায়ের ভূঁইয়া
গণহত্যার বিচার-সংস্কারের পরেই নির্বাচন: নাহিদ ইসলাম
চন্দনাইশে বড় নেতার প্রভাব কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চন্দনাইশে এমন কিছু লোকের নাম শুনেছি, যাদের নাম এলাকার মানুষ শোনেননি। আমি ১৯৭৯ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনে চন্দনাইশের নির্বাচনী কার্যক্রমের সঙ্গে ছিলাম। ১৯৮০ সালেও ছিলাম। পরবর্তী নির্বাচনগুলোতেও কাজ করেছি, এখনো কাজ করে যাচ্ছি। ২০০১ সালে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। এছাড়া তিনি যখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন, তখন চন্দনাইশে তার একটি প্রভাব ছিল। কিন্তু বিএনপিকে তিনি ভেঙে ফেলেছেন। বিএনপিকে ভেঙে ফেলার কারণে চন্দনাইশের মানুষের স্মৃতি থেকে তিনি মলিন হয়ে গেছেন।
চন্দনাইশে বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এই সাবেক বিচারপতি বলেন, চন্দনাইশের মানুষ চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ এবং বিএনপির লোকজন চন্দনাইশে চাঁদাবাজি করে না। স্থানীয় পর্যায়ে আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে- যারা দল ছোট নেতা বড়, তাদের স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের কাছে এখন দিন দিন জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে।
তিনি বলেন, সারাদেশের মতো একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটানো এবং ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটানোর জন্য চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার মানুষ প্রস্তুত।
এমডিআইএইচ/ইএ/জেআইএম