হাসিনা পালানোর আগে স্বজনদের খুদে বার্তা পাঠান: আলাল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৪ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২৫

শেখ হাসিনা পালানোর আগে তার আত্মীয় স্বজনদের খুদে বার্তা পাঠিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার আত্মীয়-স্বজনদের আগে জানিয়ে দিয়েছিলেন বলেই তারা কেউ গ্রেফতার হয়নি।

রোববার (৬ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণজাগরণ দলের উদ্যোগে ২০১১ সালের ৬ জুলাই তৎকালীন সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত হারুন, বিপ্লবদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আলাল বলেন, কোনো গণমাধ্যমে এ তথ্য আসেনি। অথচ এই তথ্যটা আরও বেশি বেশি প্রচার হওয়া দরকার ছিল। যে শেখ হাসিনা ২ আগস্ট তার আত্মীয়-স্বজনদের খুদে বার্তা পাঠিয়েছিলেন যে তোমরা যে যেভাবে পারো দেশ ছেড়ে চলে যাও। দেশ থেকে বিদেশে পালাও। যে কারণে তার কোনো আত্মীয়স্বজন গ্রেফতার হয়নি। সবাই নিরাপদে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, দেশে নতুন করে রাজনৈতিক জোট পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই যারা আন্দোলনের সঙ্গে ছিল এবং যে যুবকরা নতুন দল গঠন করেছে তাদের সংশোধন হওয়ার জন্য বলি এটা শুধু ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। এ আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রীরাও জড়িত ছিলেন, তাদের মায়েরাও জড়িত ছিলেন। এটা হবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শুধু ছাত্রদের আন্দোলন নয়। এবং এর পেছনে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে যে জোট, সেই জোট ছিল এর পেছনের শক্তিদাতা।

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সবচেয়ে বেশি শহীদের সংখ্যা বিএনপিতে, সবচেয়ে বেশি আহত সংখ্যা বিএনপিতে, সবচেয়ে বেশি গুমের সংখ্যা বিএনপিতে কিন্তু আমরা এই কৃতিত্বের দাবি করি না। আমরা মনে করি বিএনপির এটা করা উচিত ছিল, করেছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেল খেটেছেন একটি মিথ্যা মামলায়। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারপরও শেখ হাসিনা যখন পালিয়ে যান দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন আজ শান্তির দিন। কেউ প্রতিহিংসায় মেতে উঠবেন না। কেউ অন্যায় করবেন না। দিস ইজ খালেদা জিয়া। সেই  খালেদা জিয়ার সৈনিক জয়নুল আবদিন ফারুক, দেখুন জিয়ার সৈনিক আমরা তাই আমাদের সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশে নতুন আরেকটা রঙিলা বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছে। এই রঙিলা বাক্সটা হচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। পিআর পদ্ধতি যেসব দেশে আছে সেই সব দেশে কোনো একটি দেশেও স্থিতিশীল সরকার নেই। স্বাভাবিক গতির সরকার নেই। বেলজিয়াম ও ইসরায়েলেও আছে। ইসরায়েলের নাম বললে আর কোনো দেশের কথা বলা লাগে না। এই পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের আরও অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে। তবে একটা জিনিস সবাইকে পরিষ্কার ভাবে বুঝতে হবে তা হলো একটি পুরাতন বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে হলে তার আগে ওই জায়গায় কি করবেন সেটার পরিকল্পনা নিতে হবে। এখন বিল্ডিং ভেঙে ফেললেন কোনো পরিকল্পনা নেই তাহলে ওই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যাবে। আর ফাঁকা জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি, টর্নেডো হয়। সে টর্নেডো ঝড়ের প্রত্যাশা নিয়ে পিআর এর পক্ষে কারা কারা আছেন সেটা নিয়ে আমাদের গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।

প্রতিবাদ সমাবেশে আর বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক এমপি লায়ন মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, সংগঠনটির সভাপতি হাবিব আহমেদ আশিক, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনির, ইসমাইল হোসেন সিরাজীসহ প্রমুখ।

কেএইচ/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।