কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান দেশে ফিরবেন: ডা. জাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৬ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডি-ফ্যাব) কেন্দ্রীয় সংসদ এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।

ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শুধু বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন না, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের যারা সম্পৃক্ত ছিলেন সব মানুষের নেতা তারেক রহমান। আমি কয়েকদিন আগেও বলেছি, আপনারা দেখতে পাবেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইনশাআল্লাহ তারেক রহমান এসে শুধু বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়া নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্ন যেটি সেটির নেতৃত্ব দেবেন।

দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিএনপি এত বড় দল যে, এর মনোনয়নপ্রত্যাশী মানুষের সংখ্যা যত সিট আছে তার চেয়ে ১০ গুণ। কাজেই কে প্রার্থী হবেন, কে হবেন না সেটির জন্য আমাদের স্থানীয় ও জেলার নেতারা আছেন, দলের পক্ষ থেকে জরিপ এবং সর্বোপরি জনগণের ভালোবাসায় যেসব মানুষ নিজ নিজ এলাকায় উদ্ভাসিত তাদেরই আপনারা দেখতে পাবেন। কিন্তু ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়া এবং পত্রপত্রিকায় যেসব স্পেকুলেটেড নিউজ হয়েছে তার ব্যাপারে আমাদের দলের পক্ষ থেকে গত পরশু দলের মুখপাত্র রিজভী আহমেদ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, দল কাউকে গ্রিন সিগন্যাল বা রেড সিগন্যাল দেয়নি। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেহেতু এটি একটি ধারাবাহিক কার্যক্রম সেটি আমাদের অব্যাহত।

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার ছিল, আছে, থাকবে। আমরা সবসময় বলতাম স্বৈরাচারের দোষর কারা ছিল। ৮৬ তেও দেখেছেন, এখনো দেখছেন। কাজেই আপনাদের সজাগ থাকতে বলবো। দেশের মানুষ দেখছে যে, সত্যিকার অর্থে স্বৈরাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কাদের রয়েছে।

এ সময় আওয়ামী লীগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, এই দলের ইতিহাস, এই দলের নেতাদের ইতিহাস কোনো দিনই জনগণের পক্ষে ছিল না। ওনারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। ওনারা জনগণের ভালোবাসা অর্জন করার চেয়ে জনগণের ওপর চেপে বসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। ওনারা দেশকে মনে করেন তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যেমনি ইচ্ছা অমনি ওনারা চালালে দেশবাসী খুশি হবে।

‘এই অন্যায় ওনাদের পূর্বপুরুষরাও করেছেন, ওনারাও করেছেন। তবে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, শেষ বিচারের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন। মাঠে আসেন, আপনাদের সত্যিকারে কীভাবে প্রতিহত করতে হয়, প্রত্যাখ্যান করতে হয় জনগণ তা জানে।’

এমএইচএ/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।