অভিযোগ পরোয়া করি না : ড. কামাল


প্রকাশিত: ১১:৪৬ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পাকিস্তান আমলেও দেশদ্রোহিতার অভিযোগ করা হয়েছিল। বিএনপি এবং এরশাদও করেছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে এধরনের কথা শুনতে হবে এটা শুধু আমার জন্য নয়, দেশের জন্য লজ্জা ও দুর্ভাগ্যজনক। যিনি এ অভিযোগ করেন তার জন্যও লজ্জাজনক। তবে এখন আমি এ অভিযোগের পরোয়া করিনা। সম্প্রতি ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেশদ্রোহী মামলার ‘হুমকির’ ব্যপারে গণফোরাম সভাপতি ও বাংলাদেশের সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন এ কথা বলেন।

রাজধানীর আরামবাগে গণফোরাম কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে দলের বর্ধিত সভায় সভাপতির ভাষণে এ সব কথা বলেন তিনি।  তিনি বলেন, ‘ওর মতো মানুষের মুখে এটা শোভা পায় না। ও বাচ্চা ছেলের মতো কথা বলেছে। কিছু না জেনেই কথা বলেছে।

ড. কামাল আরও বলেন, জনগণ স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন ও মরণের নিশ্চয়তা চায়। মানুষ শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। স্বাভাবিক অবস্থা চায়। আইনের শাসন, বাক-স্বাধীনতা, চলাফেলার স্বাধীনতা, সন্ত্রাস-সহিংসতা ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমাজ চায়। এসব মৌলিক বিষয়ে মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে।

আটক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার টেলিসংলাপের বিষয়ে ড. কামাল বলেন, মান্নার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ওই সময় আমি দেশের বাইরে ছিলাম। মান্নার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

বর্ধিত সভায় দলের বক্তব্য রাখেন মফিজুল ইসলাম খান কামাল, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ, আ ও ম শফিকউল্লাহ, অ্যাডভৈাকেট সগীর আনোয়ার, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোসতাক আহমদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ড. কামাল হোসেন এবং ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেন।

এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।