করোনার সঙ্গে আমলাতান্ত্রিক ভাইরাসের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়তে হবে
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ত্রাণের তালিকায় ভুয়া নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য শুধু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযুক্ত করে সত্যকে আড়াল করা হচ্ছে। এবার এই ত্রাণ সহায়তায় সব দায়িত্ব আমলাদের হাতে। তারা ১-২ দিনের মাথায় তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলে অসাধু ব্যক্তিরা এর সুযোগ নেবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই করোনার সঙ্গে আমলাতান্ত্রিক ভাইরাসের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার ঈদ উপলক্ষে পার্টির ঢাকা মহানগরীর ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির সমাপনীতে এসব কথা বলেন তিনি। ওয়ার্কার্স পার্টির এই ত্রাণ তৎপরতায় যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের মেনন ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, এ ধরনের তালিকা তৈরির ব্যাপারে পাকিস্তান আমলের আমলতান্ত্রিক পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়েছে। ‘সফটওয়ারে’ সব কালোকে সাদা করার দাবি ঠিক না। কারণ মানুষই এর পেছনে কাজ করে। জনপ্রতিনিধিদের পেছনে ঠেলে দিয়ে আমলাতন্ত্র যখন চালকের সিটে বসে তখন এ ধরনের অন্যায় হবেই।
মেনন বলেন, এটা ঠিক যে ত্রাণের চাল আত্মসাতের জন্য বহু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু যারা পেছনে থেকে নাটাই ঘোরাচ্ছে তাদের বরখাস্ত করবে কে? আসলে রাষ্ট্রযন্ত্র যখন রাষ্ট্রকে দখল করে নেয় তখন এই বিপত্তি বাড়ে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জীবন ও জীবিকার উভয় প্রশ্নে আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা এর প্রমাণ। এটা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে বি-রাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া।
মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির এই ত্রাণ কাজে নেতৃত্ব দেন মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তৌহিদুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, নগর কমিটির সদস্য তাপস রায়, মুর্শিদা আক্তার নাহার প্রমুখ।
এদিন ওয়ার্কার্স পার্টি মহানগর হকার, গৃহকর্মী, অপ্রতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবী মানুষ, ওয়ার্কার্স পার্টির প্রাথমিক কমিটির সদস্যদের ৫ শতাধিক চাল, আলু, চিনি, ডাল, তেল ও সাবান প্রদান করেন।
এফএইচএস/এমএসএইচ/পিআর