ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে হিজড়ারা বেপরোয়া


প্রকাশিত: ০৩:৫৭ এএম, ০৫ মার্চ ২০১৬

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে সংঘবদ্ধ কয়েকটি হিজড়া চক্র। এসব হিজড়ারা মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে গাড়ি থামিয়ে চাঁদাবাজি করলেও নিরব দর্শকের ভূমিকায় থাকে পুলিশ। হিজড়াদের এই চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল-বিশ্বরোড মোড়, শাহবাজপুর ও চান্দুরাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় সংঘবদ্ধ কয়েকটি হিজড়া চক্র। এসব হিজড়াদের মূল টার্গেট থাকে বরযাত্রীদের গাড়ি। তবে শুক্রবার এলেই বেড়ে যায় হিজড়াদের উৎপাত। বরযাত্রীদের গাড়ি দেখলেই থামার সংকেত দিয়ে চাঁদা দাবি করে তারা। প্রতিটি গাড়ি থেকেই ৫০০ থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে অপমান করে। তাই সম্মান বাঁচাতে বাধ্য হয়েই চাঁদা দেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, বরযাত্রীবাহী একটি গাড়ি আটকে হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে দুইজন হিজড়া। পরে দর কষাকষি শেষে ৫০০ টাকা দিয়ে ছাড়া পান বরসহ ও বরযাত্রীবাহী গাড়িটি। এছাড়া কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস থেকেও হিজড়াদের চাঁদা আদায় করতে দেখা গেছে। অথচ সরাইল-বিশ্বরোড মোড়েই খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের থানা ভবন। কিন্তু পুলিশ চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উল্টো পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তাদের ম্যানেজ করেই চলে হিজড়াদের চাঁদাবাজি।

Hijra

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তারা জাগো নিউজকে জানান, প্রায় প্রতিদিনই হিজড়ারা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা না দিলেই তারা তাদের কাপড় খুলে ফেলে বিরূপ পরিবেশ সৃষ্টি করে। তবে এ ব্যাপারে প্রাশাসন কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তবে হিজড়াদের এসব চাঁদবাজি বন্ধ করতে তাদের পুনর্বাসন করার কথাও জানান কেউ কেউ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর সিদ্দিক জাগো নিউজকে বলেন, পৃথিবীতে তৃতীয় লিঙ্গের যারা আছে তারা কাউকে মানে বলে আমার মনে হয় না। তারা সরকারকেই কর দিতে চায় না আর পুলিশকে মাসোহারা দিবে এটা বিশ্বাস হয়? তবে হিজড়াদের এ অপরাধের (চাঁদাবাজি) বিষয়টি দেখার দায়িত্ব স্থানীয় থানা পুলিশের, হাইওয়ে পুলিশের নয়।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আল মামুন জাগো নিউজকে বলেন, হিজড়াদের সঙ্গে পুলিশের কোনো লেনদেনের সম্পর্ক নেই। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারপরও হিজড়াদের চাঁদাবাজির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।