বিএনপির প্রার্থী নেই ১১৯ ইউপিতে


প্রকাশিত: ০৮:৫৬ এএম, ০৭ মার্চ ২০১৬

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৭৩২টির মধ্যে ১১৯টি ইউনিয়নে প্রার্থী নেই বিএনপির। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মাত্র একটি ইউনিয়নে প্রার্থী নেই। সোমবার নির্বাচন কমিশনার মো. জাবেদ আলী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাছাইয়ের পর মোট ৬১৩ ইউনিয়ন পরিষদে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে । ৭৩২টির মধ্যে ৬২টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর বাইরে ৫৭ ইউপিতে বিএনপির প্রার্থী নেই।

জাবেদ আলী বলেন, আমরা আইনগতভাবে কাজ করছি। যে জায়গায় প্রভাব খাটানো ও বাধা দেয়ার ঘটনা হয়েছে তা বন্ধ করে দিয়েছি। যে ৬২ ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে, সেখানে তো কোনো অভিযোগ ছিল না।  সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না দিলে করার কিছুই থাকে না; এক্ষেত্রে বেশি সংখ্যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতেই পারে।

তিনি আরো বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন, যাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ হাজার ২৪৬ জন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে জাতীয় পার্টির ১২৭ জন, জাসদের ২৯, বিকল্পধারা বাংলাদেশের ৪, ওয়ার্কার্স পার্টির ২৩, জেপির ১৭, বিএনএফের ৭, সিপিবির ৪, তরিকত ফেডারেশনের ১, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ১, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২২৭, ন্যাপের ৩ ও অন্যান্য দলের ১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বহাল আছে।

৬২টি ইউপিতে সর্বনিম্ন প্রার্থী থাকার পাশাপাশি এক ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ১১ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বলেও জানান ইসির এই কর্মকর্তারা।  

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যে ৬২টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান হয়েছেন, সেগুলো হলো- খুলনার তেরখাদা, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার বর্নি, কুশলী ও পাটগাতি, ঝালকাঠির নলছিটির কুলকাঠি, মোল্লারহাট, নাচনমইল ও সিদ্ধকাঠি, বাগেরহাটের মংলার সোনাইলতলা, রামপালের মালিকেরবেড় ও পেড়িখালী, চিতলমারীর চরবানিয়ারি, বড়বাড়ীয়া,চিতলমারী, হিজলা, সন্তোষপুর, কলাতলা ও শিবপুর, ফকিরহাটের ফকিরহাট ও মুলঘর, মোল্লাহাটের আটজুরী, চুনখোলা, গাওলা, কোদালিয়া, কুলীয়া ও উদয়পুর, বাগেরহাট সদরের বারইপাড়া, বেমরতা, বিষ্ণুপুর, ডেমা, গোটাপাড়া, যাত্রাপুর, কাড়াপাড়া, খানপুর ও রাখালগাছি, কচুয়া উপজেলার বাধাল, কচুয়া, ধোপাখালী ও গজালিয়া, মোরেলগঞ্জের চিংড়াখালী।

পঞ্চকরণ, তেলিখালী, পাহাড়িয়া কান্দি ও ছয়ফুল্লাকান্দি, বরগুনা সদরের বুড়িরচর, বরিশালের বানারিপাড়ার উদয়কাঠি, ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ও চর খলিফা, মাদারীপুরের শিবচরের বন্দরখোলা, উত্তর বহেরাতলা, দক্ষিণ বহেরাতলা, ভান্ডারিকান্দি, দত্তপাড়া, কাদিরপুর, কাঠালবাড়ী, কুতুবপুর, মাদবরের চর, নিলখী, পাঁচর ও শিরুয়াইল, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদী খানের জৈনসার এবং সাতক্ষীরার কলারোয়ার সোনাবাড়ীয়া।

এর বাইরে যে ৫৭টি ইউপিতে ধানের শীষের প্রার্থী নেই, সেগুলো হলো- কক্সবাজারের মহেশখালীর বড় মহেশখালী, কিশোরগঞ্জ সদরের লতিফাবাদ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের বড়শালঘর ও বরকামতা, খুলনার বটিয়াঘাটার সুরখালী, পাইকগাছার গদাইপুর ও লস্কর, দাকোপের লাউডোব, কৈলাসগঞ্জ, কামারখোলা ও তিলডাংগা, তেরখাদার সাচিয়াদহ ও ছাগলাদহ, গোপালগঞ্জের টুংগীপাড়ার ডুমুরিয়া ও গোপালপুর, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া, ঢাকার দোহারের নয়াবাড়ি।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের পাশলা, নেত্রকোনার খালিয়াজুরির গাজিপুর, নোয়াখালীর হাতিয়ার চরইশ্বর ও চরকিং, পাবনার বেড়ার রূপপুর ও কৈটোলা, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার তেলিখালী, পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ার তিরনইহাট, বাগেরহাটের মোংলার চাঁদপাই ও বুড়িরডাংগা, রামপালের গৌরন্বা ও রাজনগর,  ফকিরহাটের নলধা-মৌভোগ, কচুয়া উপজেলার মঘিয়া, রাড়ীপাড়া ও বহরবুনিয়া, মোরেলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাটি, বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী, বরগুনা, ফুলঝুরি ও কেউড়াবুনিয়া, আমতলীর কুকুয়া, বরিশালের বাবুগঞ্জের দেহেরগতি, বাকেগঞ্জের পাদ্রিশিবপুর, বরিশাল সদরের শায়েস্তাবাদ।

মাদারীপুরের শিবচরের বাঁশকান্দি, লক্ষ্মীপুরের রামগতির চরপোড়াগাছা, সাতক্ষীরার দেবহাটার কুলিয়া,কালিগঞ্জের চাম্পাফুল ও ধলবাড়িয়া, সদর উপজেলার বৈকারী, শ্যামনগরের আটুলিয়া, ডুরুলিয়া, বুড়িগোয়ালিনী ও কাশীমারী, কলারোয়ার কয়লা, দেয়াড়া, যুগীখালী ও কেরালকাতা এবং সিলেট সদরের টুকেরবাজার।

এইচএস/এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।