ছেলের কথা স্মরণ করে কাঁদলেন খালেদা


প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ১৯ মার্চ ২০১৬

বিএনপি ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে সভাপতির বক্তব্য দিতে গিয়ে ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিচারণ করে আবেগ-আপ্লুত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।  

এসময় মা খালেদাকে চোখের জল রুমাল দিয়ে মুছতে দেখা গেছে। পরে প্রসঙ্গ বদলিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেন তিনি।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে খালেদার নাড়ি ছেড়া ধন আরাফাত রহমান কোকোর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বিএনপির বিগত আন্দোলনে নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশজুড়ে এখন ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। অসংখ্য পরিবারে স্বজন হারানোর কান্নার রোল এখনো থামেনি। নেতা-কর্মীরা দৈহিক ও অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু ও চরম নির্যাতিত হয়েছে। অনেকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। এই চরম দুঃখের দিন কেটে যাবে। কারণ, এই জুলুম ও অস্থিরতা বাংলাদেশ বহন করতে অক্ষম।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘সারা দেশে শুধু আমার নেতা-কর্মীরা নন, তাদের পাশাপাশি আমি নিজেও চরম দুঃখ-কষ্ট সয়ে এবং হামলা, অবরোধ, মিথ্যা মামলা মোকাবেলা করে আপনাদের মাঝেই রয়েছি এবং থাকবো। আমি পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন। আমার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান বিদেশে অকালে মৃত্যুবরণ করেছে। দীর্ঘ সাত বছর পরে সে আমার কাছে লাশ হয়ে ফিরেছে।’ এ কথা বলতে গিয়ে খালেদা জিয়া আবেগ-আপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত হন।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমার বড় ছেলে তারেক রহমানকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। চরম নির্যাতনে পঙ্গু হয়ে এখনো সে দূরদেশে চিকিৎসাধীন। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব দুঃখ-বেদনাকে বুকে চেপে আমি এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং তাদের কল্যাণে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই কঠিন সংগ্রামে আল্লাহর রহমত এবং আপনাদের (কাউন্সিলর ও ডেলিগেটস) সহযোগিতাই আমার পাথেয়।’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপির জন্য এটা কঠিন সময় হলেও অতীতের মতোই বিএনপি আবারো জেগে উঠেছে। গ্রিক উপকথার সেই ফিনিক্স পাখির মতো ভষ্মস্তুপ থেকে বার বার আপন শক্তিতে বলিয়ান হয়ে নতুন উদ্যমে জেগে ওঠে বিএনপি।’

এমএম/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।