বন শহরে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন বাংলাদেশি আব্দুল হাই

হাবিবুল্লাহ আল বাহার
হাবিবুল্লাহ আল বাহার হাবিবুল্লাহ আল বাহার
প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জার্মানির সাবেক রাজধানী বন নগরীর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদসহ তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশি-জার্মান সাংবাদিক ও উন্নয়ন গবেষক ড. আব্দুল হাই।

তিনি বন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর, হার্টব্যার্গ জেলা কাউন্সিলে প্রতিনিধি এবং বন সিটির ইন্টেগ্রেশন কাউন্সিলের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২০২০ সাল থেকে জার্মানির অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল সামাজিক গণতান্ত্রিক পার্টি (এসপিডি) এর সামনের সারির একজন নেতা হিসেবে বন নগরীতে দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

বন শহরে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন বাংলাদেশি আব্দুল হাই

আব্দুল হাইয়ের জন্ম মহানন্দা নদীর তীরে চাঁপাই নবাবগঞ্জের কোলে। ড. হাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাস থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এরপর সেখান থেকেই সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা নেন। তিনি সাংবাদিকতা শুরু ২০০১ সালে ডেইলি স্টার পত্রিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর রাজশাহী প্রতিনিধি হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। টেলিভিশন সাংবাদিকতায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে বিটিভি থেকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পান।

২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ এবং টেলিভিশন শাখায় কাজ করেন। ২০১৪ সালে জার্মানির বন ইউনিভার্সিটি, হোকশুলে বন-রাইন-জিগ এবং ডয়েচে ভেলে একাডেমির যৌথ মাস্টার্স প্রোগ্রাম অন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া স্টাডিজ সফলভাবে সম্পন্ন করেন। পরে ২০২৩ সালে বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি।

বন শহরে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন বাংলাদেশি আব্দুল হাই

গবেষণার পাশাপাশি তার নেশা আছে কবিতা আর গল্প লেখার। তার কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ও নিবন্ধ এরই মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, জার্মানি এবং ফ্রান্স থেকে প্রকাশিত সাহিত্য সংকলন, সাময়িকী, পত্রিকা এবং অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

২০১৫ সাল থেকে জার্মান, বাংলা ও ইংরেজি তিন ভাষায় প্রকাশিত অনলাইন গণমাধ্যম ‘আওয়ার ভয়েস‘ এবং বাংলা ও জার্মান ভাষায় প্রকাশিত প্রিন্ট ম্যাগাজিন ‘সীমান্ত‘ সম্পাদনা করেন। ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি জার্মান উন্নয়ন সংস্থা ওয়ান ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক এ প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]