বিশ্বমঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গৌরব

আফছার হোসাইন
আফছার হোসাইন আফছার হোসাইন
প্রকাশিত: ০৩:৩৩ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

মিশরে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় আবারও ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের তরুণ হাফেজ আনাস বিন আতিক (১৬)। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে তিনি অর্জন করেছেন অসাধারণ সাফল্য, যা বাংলাদেশের জন্য গর্বের নতুন মাইলফলক।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মিশরের প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর আল-কেবির মসজিদে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। আটটি শাখায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় ৭০টি দেশের অংশগ্রহণ ছিল। বিভিন্ন শাখায় মোট ২৬ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়।

অনা-আরব হিফজুল কুরআন (শুদ্ধ তিলাওয়াতসহ ৩০ পারা মুখস্থ) শাখায় প্রথমস্থান অর্জন করেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস বিন আতিক। একই শাখায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন তাজিকিস্তানের আহমদ করিম (৫ লাখ পাউন্ড), তৃতীয় নাইজেরিয়ার উসমান উসমান (৪ লাখ পাউন্ড), চতুর্থ ক্যামেরুনের মুহাম্মদ (৩ লাখ পাউন্ড) এবং পঞ্চম পুরস্কার পান গিনির আহমদ (২ লাখ পাউন্ড)।

বিশ্বমঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গৌরব

প্রথম স্থান অর্জনের পুরস্কার হিসেবে হাফেজ আনাসকে ছয় লাখ মিশরীয় পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা) প্রদান করা হবে। পাশাপাশি তাকে সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন মিশরের ধর্ম ও ওয়াকফমন্ত্রী ড. ওসামা আল-আজহারি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, বিদেশি রাষ্ট্রদূত এবং বিশ্ববরেণ্য বহু আলেম-উলামা।

এর আগে সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ১২৩টি দেশের প্রতিযোগীদের পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন হাফেজ আনাস। এছাড়া আরটিভির হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করে তিনি নজর কাড়েন।

বিশ্বমঞ্চে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গৌরব

ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ আনাস বিন আতিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমানের একমাত্র ছেলে।
বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জনের মাধ্যমে তিনি এ আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পান।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]