বিদেশে কর্মসংস্থান সহজ করতে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ২৯ জুন ২০২১

এম এইচ আলম

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান অন্যতম। তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে কেবল তৈরি পোশাক খাত। প্রবাসীদের অনেকেই পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ তথা পরিবার-পরিজন ছেড়ে পাড়ি দেয় অজানা দেশের অচেনা ভূমিতে। ইতোপূর্বে কর্মীরা বিদেশে একটি চাকরির আশায় প্রায়ই, মরিয়া হয়ে যে কারো প্রলোভনে পা দিত এবং প্রায়ই তারা ওসব দুষ্টচক্রের শিকার হত।

বিজ্ঞাপন

ওই অসাধু চক্রগুলো প্রবাসীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিদেশে পাচার করার অনেক অভিযোগ রয়েছে। আর তারা সেই ফাঁদে পা দিয়ে গৃহকর্মী নামের অমানবিক দাসত্ব বরণ করে নিতে বাধ্য হত। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি আর নেই। এজন্য সাধুবাদ জানাতে হয় সরকারকে। যারা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে খুবই জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিয়ে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে।

বর্তমানে প্রবাসী কর্মীরা সরকার অনুমোদিত এজেন্টদের মাধ্যমে নানা দেশে বৈধ, স্থিতিশীল ও নিরাপদ কাজের সুযোগ পাচ্ছে। ফলে, প্রবাসীরা উপযুক্ত আয়ের মাধ্যমে কেবল তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণই নিশ্চিত করছে না; অধিকন্তু নিরাপদ ও নিশ্চিত একটি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ও করতে পারছে তারা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তারা এখন সুযোগ পাচ্ছে নানা আচার-অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেশে ফেরার, পরিবারের পাশে থাকার।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

প্রবাসে চাকরির এমন অগ্রগতি সত্ত্বেও, বিদেশ-গমনে একটি সহজ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার বড়ো অভাব এখনো বিরাজমান আছে। দস্তা দস্তা ছাপানো পৃষ্ঠা পূরণের শতাব্দী প্রাচীন পদ্ধতি একুশ শতকের পৃথিবীতে অচল। তাই বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রবাসীদের জন্য প্রয়োজন একটি সহজ, কার্যকর ও স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল সেবাদান-প্রক্রিয়া; যা তাদেরকে প্রয়োজন, যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী যথাযথ কর্মসংস্থানের সঙ্গে পরিচয় ও সংযোগ ঘটিয়ে দেবে।

এখানেই প্রয়োজন ‘আমি প্রবাসী’র। ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটি যৌথভাবে তৈরি ও প্রস্তুত করেছে বাংলা-ট্র্যাক গ্রুপ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রাণালয়; যার নেতৃত্বে ছিলেন বাংলা-ট্র্যাক গ্রুপের মহাপরিচালক তারেক একরামুল হক ও পরিচালক নামির আহমদ নূরী। এটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি পোর্টাল, যা বিদেশ ভ্রমণের পুরো-প্রক্রিয়াটিকে সহজ ও সাশ্রয়ী করে এনেছে; সময় ও অর্থ উভয় দিক থেকেই।

এটির লক্ষ্য, প্রবাসী কর্মীদের জন্য লাল ফিতার তথাকথিত আমলা-তান্ত্রিকতা এবং নানা নিয়ম-কানুনের জটিলতামুক্ত একটি সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি নিশ্চিত করা। এ অ্যাপটির মাধ্যমে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীরা সরকার অনুমোদিত এজেন্টদের খুঁজে পাওয়া, উপযুক্ত চাকরির সন্ধান, আবেদনপত্র পূরণ ও জমাদান, বিমান-সহযোগিতাসহ এ সক্রান্ত নানা প্রয়োজনীয় সেবা সহজেই খুঁজে পাবে।

pro1

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

পাশাপাশি এটি পুরো প্রক্রিয়ায় কিছু বাড়তি স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করবে; যা পুরোনো ও নতুন সকল দক্ষ কর্মীদের মন থেকে বিদেশ-গমন প্রক্রিয়া-সক্রান্ত সকল প্রশ্নের নিরসন ঘটাবে। যেমন: একটি সফল আবেদন নিশ্চিত করতে কখন, কোথায় কী পরিমাণ ফি জমা দিতে হবে, কী কী কাগজপত্রের দরকার হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিএমইটি ও বাংলা-ট্র্যাক গ্রুপের একটি সমন্বিত উদ্যোগের ফসল হলো ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপ, যা বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রম-প্রক্রিয়াকে একটি ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসবে। যে পদ্ধতি সরাসরি সাহায্য করবে সেই দেড় কোটিরও বেশি কর্মী ও স্বপ্নচারী অভিবাসীদের, যারা প্রতি বছরান্তে দুই হাজার কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা যোগ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।

এই অ্যাপটি একটি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় গত ৮ মে ২০২১ এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউছ ও অন্যান্য অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি প্রবাসী’ নামের এই অ্যাপ অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বিরাজমান জটিলতা ও বাধাগুলোকে দূর করে একটি সু-সংগঠিত ডিজিটালাইজড পদ্ধতির ভিত্তি তৈরি করে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এটি পুরো অ্যাপের একটি রূপরেখা মাত্র, ভবিষ্যতে এটি পুরো অভিবাসন প্রক্রিয়াকে একটি মাত্র প্লাটফর্মে নিয়ে আসবে। এটি হবে একটি ইউনিফাইড পদ্ধতি; যা বিএমইটি নিবন্ধন, এমএফএস সমন্বয়ের মতো সেবাদানের মাধ্যমে বিদেশ-গমনেচ্ছু ও প্রবাসী কর্মীদের একটি ‘ওয়ান-স্টপ’ পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসবে।’

বিজ্ঞাপন

অ্যাপটির কার্যকারিতা ও উপযোগিতার প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, ‘এখানেই শেষ নয়, সামনে অনেক পথ পড়ে আছে, আছে অনেক বাধা-বিপত্তি; করোনা মহামারি যার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু আমি মনে করি, এসব অজুহাত ভবিষ্যৎ সাফল্যের পথে কোনোভাবেই আমাদের বাধা হয়ে থাকবে না।’

বিশেষ করে অভিবাসী কর্মীদের জন্য ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটির সহজ, কার্যকর ও সুদূর-প্রসারী প্রভাবের কথা উল্লখে করে তিনি বলেন, ‘কেবল প্রবাসী কর্মীদের নয়; কর্মী, এজেন্ট, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে এ অ্যাপের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।’

pro1

বিজ্ঞাপন

তিনি মনে করেন, ‘আমি প্রবাসী’ অভিবাসন সক্রান্ত সমস্ত অভিজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে; পারে বিদেশে যেতে আগ্রহী সব নাগরিককে এতে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করতে। এটি করা গেলে দেশে রেমিট্যান্সপ্রবাহ নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পাবে।’

মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউছ বলেন, ‘আমি প্রবাসী’ এ ধরনের উদ্যোগের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রথম অ্যাপ, যা অভিবাসন প্রক্রিয়াকে ডিজিটাইজেশন চেষ্টার পাশাপাশি এ খাতের ভবিষ্যৎ ডিজিটাইজেশনকে আরো অনেক দূর প্রসারিত করবে। আমি মনে করি, আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহে এ অ্যাপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এর মাধ্যমে দেশে থাকা প্রিয়জনদের কাছে আমাদের অভিবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ও সংখ্যা দুটোই বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ড. কায়কাউছ ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘অভিবাসনের সমস্ত প্রক্রিয়াকে এক বিন্দুতে এনে এই অ্যাপটি কর্মী, এজেন্ট, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষসহ সকল অংশীজনকে একটি চমৎকার সহাবস্থানে বেঁধে রাখতে আশীর্বাদ হয়ে কাজ করবে। এটি রাষ্ট্র-প্রশাসনের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। কারণ, এর মাধ্যমে তারা প্রয়োজন মতো কর্মীদের ও তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের বিশেষায়িত তথ্যভাণ্ডারে সরাসরি প্রবেশের সুযোগ নিতে পারবে। জরুরি ক্ষেত্রে কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে দূর-প্রবাসে তাদের নিরাপত্তা ও কর্ম উদ্যোমে সরাসরি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘অ্যাপটি ডাউনলোড করা থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে যোগদান পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটির প্রতিটি পদক্ষেপে ডিজিটাইজেশনের পথে এখনও অনেক কর্মপরিকল্পনা বাকি রয়েছে। অ্যাপটি প্রবাসী কর্মীদের উপযুক্ত চাকরি খুঁজতেই কেবল সাহায্য করবে না, অধিকন্তু কর্মক্ষেত্রে তাদের কাজ, কাজের ধরণ, পদ-পদবি ইত্যাদিও নিশ্চিত করবে। ফলে, প্রবাসে কাজ করার আগেকার ভয়, সংশয়, হয়রানি ও নিপীড়ন নির্যাতনের আশঙ্কা থেকেও মুক্তি পাবে তারা।

বিদেশ গমনেচ্ছু প্রতিটি কর্মীদের প্রতিটি প্রয়োজন পরিপূরণের মতো একটা পোর্টাল তৈরির মাধ্যমেই কেবল পুরো প্রক্রিয়াটিতে সত্যিকারের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। যার চূড়ান্ত সুবিধা ভোগ করবে দেশের জনগণ। এ অ্যাপটি আমাদের প্রতিটি প্রবাসীকে সে অভিজ্ঞতাই দেবে, যা দেশের অর্থনীতিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম অবদান সৃষ্টিকারী হিসেবে সত্যিকার অর্থেই তাদের প্রাপ্য।’

প্রকল্পটির উদ্যোক্তা বাংলা-ট্র্যাক গ্রুপের মহাপরিচালক একরামুল হকের মতে, আমি প্রবাসী, এক অত্যন্ত কার্যকর ডিজিটালাইজেশন প্লাটফর্ম, যা একটি অ্যাপ এবং ওয়েব পোর্টাল, যা বিদেশে চাকরি জন্য আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিপূর্ণ সেবা প্রদান করে থাকে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনে সহযোগতিা করে সরকারি ডাটাবেসকে পরিপূর্ণ রূপরেখায় নিয়ে আসবে এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান সর্ম্পকে তথ্য সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে অভিবাসীদের উপকৃত করবে।

বিজ্ঞাপন

তার মতে, ‘এ অ্যাপটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আশাব্যঞ্জক দিকটি হলো, এটি ধারাবাহিকভাবে নিজের অগ্রগতি ও উন্নতি ঘটিয়ে আরো সহজতর উপায় ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠব। নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নের পথে অগণিত দক্ষ কর্মীদের বিদেশ-বিভূঁইয়ের পথে কঠিন যাত্রাকে সহজ, স্বচ্ছন্দ ও নিরাপদ করে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারবে।’

পাশাপাশি, যেহেতু এই অ্যাপটিতে সরকার অনুমোদিত এজেন্টরা ছাড়া মানবপাচারকারী অবৈধ, অসাধু এজেন্টরা নিজেদের যুক্ত করার সুযোগ পাবে না; সেহেতু আমাদের অর্থনীতিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম অবদান রাখা প্রবাসী কর্মীরা এ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেদের নিরাপদ ও নিশ্চিন্তে রাখার সুযোগও পাবে।

‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপটি অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বিপ্লব ঘটাতে সত্যিকার অর্থেই একটি সঠিক পদক্ষপে, যার অসামান্য সুবিধাদি কেবল কর্মীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেই ভূমিকা রাখবে না; অধিকন্তু এই অতি গুরুত্বপূর্ণ খাতটির টেকসই উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পুরো জাতিকে সহায়তা করবে। আমি প্রবাসী অ্যাপটি নিশ্চিত করবে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশনে বিদেশ গমনচ্ছেু কর্মীদের আবেদনপত্র ও ফরম পূরণ সঠিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্নকরণ, প্রকৃত চাকরি অনুসন্ধান, সঠিক এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং বিমানবন্দরে সকল সহায়তামূলক কার্যাবলী ও গন্তব্যতে নিশ্চিন্তে পৌঁছানো।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

এটি ব্যবহার করা যেমন সহজ, তেমনি এটি দূর করতে পারবে বহু প্রতিকূলতাকে যা একজন কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশ গমনেচ্ছু বিদেশি ভাই বোনকে প্রায়শই মুখোমুখি হতে হয়। এটি আধুনিক করবে আমাদের চলমান সিস্টেমকে যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কার্যকর প্রণালী হিসেবে কাজ করবে। বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপটে আমাদের রেমিট্যান্সের ধারা ঠিক রাখতে হলে আমাদের কার্যপ্রণালীকে ডিজিটাল প্রসেসে পরিচালিত করতে হবে। বিধায় সকলেই আশাবাদী আমি প্রবাসী অ্যাপ এক্ষেত্রে এক কার্যকরী ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। অ্যাপটি প্লে স্টোরে ডাউনলোডের জন্য পাওয়া যাবে।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com