পা

আমরা আমাদের শরীরের অনেক অঙ্গের অনেক গুণগান করি। পায়ের গুণগান খুব একটা হয় না। অথচ এত বড় একটি দেহকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা নিয়ে চলছে সারাক্ষণ এই পা।
জ্যামাইকার ছোট্ট শহর ট্রিলনি পারিশে ২১ আগস্ট, ১৯৮৬ সালে জন্ম নেয় উসাইন সেন্ট লিও বোল্ট। পৃথিবীর সর্বকালের দ্রুততম মানব, যিনি ১০০ মিটার দৌড় ৯.৫৮ সেকেন্ডে এবং ২০০ মিটার দৌড় ১৯.১৯ সেকেন্ডে শেষ করেছেন। ২০১০ সালে ভেঙেছেন নিজের করা বিশ্বরেকর্ড। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে জয় করেছেন ৯টি সোনা পা দিয়ে দৌড়ে।
রজার ফেদেরার শুধু বিশ্বের সেরা টেনিস খেলোয়াড়ই নয়, তিনি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের আনন্দের উৎস। তিনি সবার হৃদয়ের এক ভালোবাসা। একদিন টেনিস জগত তাকে ছাড়া টেনিস খেলবে, হয়তো তার কথাও ভুলে যাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। নতুন চ্যাম্পিয়নের জন্ম হবে ঠিকই, তবে আমার মনে হয় রজার ফেদেরার সবার হৃদয়ে টেনিসের আইকন হয়ে বেঁচে থাকবেন দুনিয়াতে, এত কিছুর জন্য যার ভূমিকা অপরিসীম।
জলাতান ইব্রাহিমোভিচ ১৯৮১ সালে সুইডেনের মাল্মোতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছয় বছর বয়সে ফুটবল খেলা শুরু করেন।
জলাটনের দীর্ঘকালীন সম্পর্ক রয়েছে সুইডিশ অভিনেত্রী এবং মডেল হেলিন সেগারের সঙ্গে। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
জলাতান ইব্রাহিমোভিচ নিজেকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ফুটবলার বলে সম্বোধন করেন।
সংবাদমাধ্যমে ফুটবলারদের মধ্যে তুলনা করা অনুচিত বললেন তিনি। সুইডেনের তারকা ফুটবলার জলাতান বরাবরই সাহসী কথাবার্তা বলতে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে তিনি কিছু বাস্তব কথা বলারও সাহস দেখান, যা বাকি পাঁচজন ফুটবলারের নেই। তবে তার দক্ষতা এবং কুশলতা মেসি এবং রোনাল্ডোর সমতুল্য।
তিনি নিজেকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বললেন এবং যেহেতু প্রতিটি ফুটবলারের জীবনের আলাদা কাহিনি থাকে, তাই তাদের মধ্যে তুলনা করা উচিত নয় মনে করেন তিনি।
২২ বছর ধরে ইউরোপ এবং মার্কিন মাটিতে রাজত্ব করে বেড়িয়েছেন জলাতান ইব্রাহিমোভিচ। বার্সেলোনা, মিলান, প্যারিস, ম্যানচেস্টার ইউনাটেড, ইন্টার এবং জুভেন্টাসের হয়ে অসংখ্য ট্রফির মালিক তিনি। তাকে এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা প্লেয়ার হিসেবে ধরা হয়।
জলাতান ইব্রাহিমোভিচ একজন সুইডিশ পেশাদার ফুটবলার যিনি সুইডিশ জাতীয় দলের হয়ে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেন। মূলত একজন স্ট্রাইকার, তিনি একটি দুর্দান্ত গোলদাতা, তার কৌশল, সৃজনশীলতা, শক্তি, বাহুতে দক্ষতা এবং শক্তিশালী এবং সুনির্দিষ্ট পঞ্চিংয়ের দক্ষতার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তিনি ৩২টি ট্রফি জিতে বিশ্বের দ্বিতীয় সজ্জিত সক্রিয় ফুটবলার যার মূল্য ১৯০ মিলিয়ন ডলার, সব কিছু সম্ভব হয়েছে পায়ের কারণে।
আজ শীতের সকালে হঠাৎ একটু রোদের দেখা মিলেছে। ব্যালকনিতে বসে এক কাপ কফি পান করছি। পা দুটিকে মিলে দিয়েছি রোদে, বেশ স্বস্তি লাগছে এখন। সারা রাত ঝিন ঝিন করে ব্যথা করছে পা দুটি। পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা। বিশ্বের কেউ পা দিয়ে মিলিয়ন ডলার কামাচ্ছে আর আমি পায়ের ব্যথায় রাতের ঘুম হারাম করেছি। তারপরও হাত জোড় করে প্রার্থনা করছি পা দুটি ভালো করে দাও মিলিয়ন ডলারের দরকার নেই।
সুইডেনে কথায় বলে সুস্থ লোকের হাজার চাওয়া আর অসুস্থ লোকের একটাই।
লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক (প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট), ফাইজার, সুইডেন থেকে, rahman.mridha@gmail.com
এমআরএম/এএসএম