মালদ্বীপে অসুস্থ বাংলাদেশি, বলতে পারছেন না নাম-পরিচয়

একজন প্রবাসী সুস্থ স্বাভাবিক বুকভরা আসা নিয়ে বিদেশ আসেন। কিন্তু সবাইকে সুখে রাখার দায়িত্ব একার কাঁধে নিতে গিয়ে মানসিক চাপে রেমিট্যান্সযোদ্ধার জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে।
প্রবাস এমন এক জায়গা যেখানে অসুস্থ হলে দেখার কেউ থাকে না। মন থাকা সত্ত্বেও সময়ের অভাবে কেউ কারোর জন্য কিছু করতে পারেন না। রানারের মতো চলতে থাকে বিরতিহীন জীবন।
নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে অন্যদের সুখী করতে নিজে সুখে না থেকে সারা বছর সুখের অভিনয় করে যায়। বোঝার কোনো উপায় নেই। জানার সামান্যতম চেষ্টাও কেউ করে না।
প্রবাসে অসুস্থ হলে যত্ন নেওয়ার জন্য কোনো স্বজনের দেখা মেলে না। অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকাও কাছে থাকে না। চিকিৎসার অভাবে রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুর পরে অর্থাভাবে মরদেহ পড়ে থাকে হিমাগারে। স্বজন না থাকলে কোনো কোনো সময় লাশ বেওয়ারিশ অবস্থায় পড়ে থাকে।
মালদ্বীপে এমনই একজন বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধার সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি তার নাম-ঠিকানা কোনো কিছুই বলতে পারছেন না। মালদ্বীপে তার নিকটাত্মীয়-স্বজন আছে কি-না সেটাও জানেন না। শুধু বলতে পারেন, গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ইলিয়াটগঞ্জে।
প্রবাসে কিংবা দেশে যদি কেউ তাকে চিনে থাকেন তাহলে হাইকমিশন অফিস নম্বর +৯৬০৩২৭৯৬২ ও জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বর- +৯৬০৭৪৯৫৮৩৭ এ যোগাযোগ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। জাকির হোসেনের মোবাইল নম্বরে ইমো, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ আছে।
হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে শনিবার (৩০জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ওই ব্যক্তিকে দেখতে আসেন মালদ্বীপ হাইকমিশন অফিসের কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান, মোহাম্মদ জসিম উদ্দীনসহ প্রবাসী সোশ্যাল ওয়ার্কার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি আরিফুর ইসলাম, প্রবাসী ব্যবসায়ী মনির হোসেন প্রমুখ।
হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিস জানায়, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার দাড়িপাড়া গ্রামের আলী মিয়া ও পরাশা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ বিল্লাল। তার পাসপোর্ট নম্বর- BB0568157। জন্ম তারিখ পহেলা ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮।
এসএএইচ/এমআরএম/জেআইএম