ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসবে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৩ এএম, ২২ মার্চ ২০২৩

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী উৎসবে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘বিশ্বায়নে ৭ মার্চের মহাকাব্য ও ভারতের ভূমিকা’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

বাংলাদেশি লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মোহাম্মদ সেলিম রেজার লেখা গবেষণাধর্মী এই বইটি প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশন, পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রকাশনা সংস্থা বঙ্গবন্ধু পাবলিশিং হাউজ।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) অ্যান্ড হেড অব চ্যান্সারি শিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি সুকেশ কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে বই প্রকাশ ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লেখক মোহাম্মদ সেলিম রেজা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক এবং শিক্ষাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাব্রিনা খান তন্দ্রার সূচনা সংগীতের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী উৎসব ও বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের প্রাণবন্ত আলোচনায় বক্তারা বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্যের (ডকুমেন্টারি হেরিটেজ) অংশ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ এবং স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিশ্ব ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সময়ের পরিসীমায় গন্ডিবদ্ধ না থেকে তা হয় কালোত্তীর্ণ ও প্রেরণাদায়ী। এ ভাষণের উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর কাব্যিক গুণ, শব্দশৈলী ও বাক্যবিন্যাস- যা হয়ে ওঠে গীতিময় ও সারাবিশ্বে অনুরণিত মহাকাব্য হিসেবে।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সেইসঙ্গে গভীর কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করা হয় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের একাত্মতা ও আত্মত্যাগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ও ভারত দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় থেকে আরো দৃঢ়তর হবে বলে বক্তরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দুই বাংলার শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধি ও বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে স্মারক দু’টি বৃক্ষ রোপন করা হয়।

এমআরএম/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com