ই-ওয়ালেটে রেমিট্যান্স পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন বসেই অ্যাপ ব্যবহার করে বাংলাদেশের সব মোবাইল ব্যাংকিং ও কর্পোরেট ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। বহুজাতিক সংস্থা রিয়া ই-ওয়ালেট অ্যাপ ব্যবহার করে এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় (জেটিকে) এই অনুমোদন দিয়েছে।
এক্ষেত্রে ব্যাংক কিংবা মানি ট্রান্সফার সেন্টারে সরাসরি যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রবাসীরা ঘরে বসেই মোবাইলে কর্মস্থলের বেতন গ্রহণ ও নিয়োগকর্তারা ই-ওয়ালেটে বেতন প্রদান করতে পারবেন। মালয়েশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় (জেটিকে) এ অনুমোদন দিয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) দেশটির জাতীয় দৈনিক বেরিতা হারিয়ান এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কুয়ালালামপুরের লা মেরিডিয়ান হোটেল গ্যালারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হয়, রিয়া মানি ট্রান্সফার এবং ইউরোনেট ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইনকর্পোরেটেডের একটি বাণিজ্যিক শাখা, মালয়েশিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয় (জেটিকে) এসএম থেকে রিয়া ই ওয়ালেটের মাধ্যমে ডিজিটাল বেতন পরিশোধ করার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেয়েছে। এই অনুমোদনের মাধ্যমে রিয়া এখন মালয়েশিয়ার বৃহৎ প্রবাসী শ্রমিক জনগোষ্ঠীর জন্য একটি নিরাপদ, বৈধ চ্যানেলে বেতন ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা চালু করতে পারবে, যাদের একটি বড় অংশ এখনও ব্যাংকিং সেবার বাইরে রয়েছে।
এর আওতায় থাকবে, রিয়া পেরোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, রিয়া ওয়ালেট, রিয়া প্রিপেইড কার্ড প্রোগ্রাম (মাস্টারকার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি)।
ডিজিটাল সার্ভিসের পাশাপাশি, মালয়েশিয়াজুড়ে টাকা পাঠানোর জন্য রিয়া মানি ট্রান্সফারের ৭৮টি শাখা রয়েছে। ডিজিটালের পাশাপাশি রিয়া মানি ট্রান্সফারে সেমি-ডিজিটাল সার্ভিসও রয়েছে, যা গ্রাহকদের ই-ওয়ালেট এবং কাউন্টারের মাধ্যমে অফলাইনে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ করে দেয়। রিয়া ই-ওয়ালেট ও মাস্টার কার্ড ব্যবহার করে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ সরকারও নিদিষ্ট হারে রাজস্ব পাবে।
প্রবাসীরা ঘরে বসেই বৈধ চ্যানেলে বিকাশ, রকেট ও নগদ অ্যাকাউন্টে পরিবারের কাছে সরাসরি রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। বাংলাদেশে নিরাপদে টাকা পাঠানোর জন্য রিয়া মানি ট্রান্সফার একটি দুর্দান্ত মাধ্যম বলে জানান রিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এমআরএম
