অধিকাংশ দল মনে করে এনসিসির মতো প্রতিষ্ঠান দরকার: আলী রীয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৬ পিএম, ১৮ জুন ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, আজকে আমাদের বড় অর্জন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক অবস্থান জানার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পারস্পরিক আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দেখেছি— এ ধরনের প্রতিষ্ঠান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো এ ধরনের প্রতিষ্ঠান অনুভব করে কি না। তাদের দিক থেকে সেই তাগিদ আছে কি না। দু-একটি দলের সঙ্গে নীতিগত মতপার্থক্য থাকলেও অধিকাংশ দল মনে করে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান দরকার। বেশ কয়েকটি দল একমত হয়নি।

বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

এনসিসির নাম পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন এনসিসি নাম প্রস্তাব করেছিল। কেউ কেউ এ নাম পরিবর্তনের কথা বলেছে। আমরা বলেছি, লক্ষ্য অর্জনের জন্য নাম পরিবর্তন কোনো বিষয় নয়। আমরা বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। আলোচনাটি খানিকটা অগ্রগতি হয়েছে, আগামী সপ্তাহে পর্যন্ত রাখবো।

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটি হলো রাষ্ট্রপ্রতি নির্বাচন। আমাদের থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দুটি প্রস্তাব আছে। প্রথমটি হলো ইলেক্টোরাল পদ্ধতিতে নির্বাচন।’

তার মধ্যে সবাই বলেছে বর্তমান যে বিধান রয়েছে সেটা পরিবর্তন দরকার আছে কি না- দ্বিতীয় প্রশ্ন উঠেছে রাষ্ট্রপতির আরও ক্ষমতা দেওয়া ও ক্ষমতা ভারসাম্য করার জন্য আমাদের বিবেচনা করা উচিত কি না। দুটো বিষয়ে আলোচনা চলছে, আলোচনা অব্যাহত থাকবে। আমরা বলেছি, ঐকমত্য কমিশন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন এ বিষয়ে আলোচনা করে পরবর্তী আলোচনায় নিয়ে আসবো।

জেলা কাউন্সিল নির্বাচন নিয়ে আলী রিয়াজ বলেন, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি। কেউ কেউ বলেন, এটার প্রয়োজন আছে কি না। এটা নিয়ে আলোচনা হয়নি।

আমরা আগামীকাল বৈঠকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করবো। এনসিসি ও তার আগে যেসব অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

কাউন্সিলের জবাবদিহি কীভাবে নিশ্চিত হবে এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, যেভাবে প্রস্তাব করা হয়েছিল, প্রধান বিচারপতি বাদে প্রত্যেক সদস্য নির্বাচিত প্রতিনিধি। যাদের হাতে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কাছে জবাবদিহি থাকবে। আমরা সবাই যদি এ প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে একমত হই, তাহলে এ জবাবদিহি কাঠামোগতভাবে করা সম্ভব।

সংলাপে দুটি ওয়াক-আউটের বিষয়ে তিনি বলেন, যে কোনো আলোচনায় সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকবে ও ভিন্ন মত থাকবে। এতগুলো রাজনৈতিক দল ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকবেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সব রাজনৈতিকদল সহযোগিতা করছে।

আরএএস/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।