কুয়েতে ‘বিশেষ ফ্লাইট’ চায় বাংলাদেশিরা
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাস রোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এদিকে কুয়েত সরকার ১২ মার্চ থেকে লকডাউনের ঘোষণা করে। পরের দিনই কার্গো বিমান ব্যতীত বাণিজ্যিকসহ সবধরণে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত ঘোষণা করে দেশটির সিভিল এভিয়েশন
প্রায় তিনমাসের কাছাকাছি প্রবাসী বাংলাদেশিরা কর্মহীন অলস সময় পার করছেন। লকডাউনের ফলে বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন কোম্পানি ও কারখানা মালিকরা বেশিরভাগ শ্রমিকদের বাধ্যতামূলক ছুটি দিয়েছে। কাজ না থাকায় খাবার খরচ ও বাসা ভাড়া দিতে হিমশিম খাচ্ছেন বাংলাদেশিরা।
লকডাউনে ঘরবন্দি হয়ে বসে থাকতে থাকতে বয়স্করা ডায়বেটিকসসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। অর্থের অভাবে চিকিৎসা ও করাতে পারছেন না অনেকেই। আবার অনেক প্রবাসী ছুটিতে দেশে যাওয়ার জন্য টিকিট কিনেও ফ্লাইট বাতিল হওয়ার কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না।
এমতাবস্থায় দেশটির প্রবাসীরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তাদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটে ব্যবস্থা করে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য।
কুয়েতে প্রবাসী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকায় আমরা আর্থিক কষ্টের মধ্যে রয়েছি, খাবারের সমস্যায় আছি রমমজান মাস হওয়ায় আরও বেশি ভুক্তভোগী। কর্মহীন ও বেতন না পাওয়ায় মানষিক দুঃশ্চিন্তায় অনেকই ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন তাদের পারিবারিক সেবা যন্ত ও চিকিৎসার খুব প্রয়োজন’।
অপর এক প্রবাসী বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমি একজন টেক্সি ড্রাইভার। করোনার কারণে টেক্সি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় আমরাও বেকার পয়ে পড়েছি। এটা ছাড়া আমাদের অন্যকোনো আয়ের উপায় নেই। এতদিন ধার দেনা করে চলেছি, ধীরে ধীরে যেন বিপদ বাড়ছেই’।
তিনি বলেন, ‘আমি ঈদে দেশে যাওয়ার জন্য দুই মাস আগে টিকিট কেটেছি। করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেতে পারছি না। বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ আমাদের যেন ‘বিশেষ ফ্লাইটে’ ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে’।
এমআরএম/এমকেএইচ