ইতালিতে এক সপ্তাহে বাংলাদেশিসহ আক্রান্ত লাখের বেশি

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২০

ইতালিতে আবারও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহে বাংলাদেশিসহ ১ লাখেরও বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬৮৫ জনের। এর মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে এক বাংলাদেশি মৃত্যু সংকটাপন্ন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা তার সুস্থতা চেয়ে সমামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দোয়া চেয়েছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় নাগরিকসহ অভিবাসীদের মধ্যে এক প্রকার আতঙ্ক বিরাজ করছে।

দেশটির বিভিন্ন শহরে চলছে প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তা। পয়েন্ট পুলিশ চেক ছাড়াও কেউ অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বাইরে যায় কিনা সেদিকে নজর রাখছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতালি সরকার করোনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হওয়ার আগে থেকেই বাড়তি সতর্কতায় ছিল। ফলে ইউরোপের স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানে যখন আক্রান্তে মহামারি দেখা দেয় ইতালিতে তখনও চলাচল স্বাভাবিক ছিল। হঠাৎ গত দুই সপ্তাহে রেকর্ডে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে।

jagonews24

২৪ অক্টোবর একদিনে ১৯ হাজার ৬শ ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছে ১৫১ জন। এর আগের দিন ১৯ হাজার ১৪৩ জন আক্রান্ত হয়। একই দিনে মৃত্যু ৯১ জন। যা গত এক সপ্তাহের রেকর্ড ভঙ করে। এখনও স্পেন ও ফ্রান্স আক্রান্তর সংখ্যা ইতালির চেয়ে অনেক বেশি। ফলে দেশটিতে অর্থনৈতিক আবারও মন্দা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে বাংলা কমিউনিটিসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে চলতি সপ্তাহে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ ইতালি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেন। আলোচনায় দুই দেশের সরকার প্রধান স্বাস্থ্যখাত ও অর্থনৈতিক মোকাবিলা করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। ইতালি সরকার অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙা রাখতে পুরোপুরি লকডাউনের কথা না ভাবলেও আংশিক সীমাবদ্ধতা দিয়েছেন।

রাজধানী রোম ও রোমের বাইরে সকাল ৬টায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে দোকান বন্ধ করতে হবে। করোনায় আক্রান্তের উপর নির্ভর করে আগামীতে সরকার নাগরিকদের জীবনে নিরাপত্তার স্বার্থে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

উল্লেখ্য, ইতালিতে এ পর্যন্ত প্রায় সুস্থ হয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ১১৭। চিকিৎসাধীন ২ লাখ ৩১ হাজার ১৮২ জন। মোট মৃত্যু ৩৭ হাজার ২১০। সর্বমোট আক্রান্ত ৫ লাখ ৪ হাজার ৫০৯ জন।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]