ইউনেস্কোতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৪ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

শাহ সুহেল আহমদ, প্যারিস (ফ্রান্স) থেকে

প্রতি ৪০ দিনে বিশ্বের একটি ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বের ৪০ শতাংশ শিশু এখনো তাদের মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তৎপর ও কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার তালহা।

বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সোমবার বাংলাদেশ দূতাবাস প্যারিস ইউনেস্কো সদর দফতরে বিশাল পরিসরে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল ভাষা আন্দোলনকারীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মাতৃভাষার বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষের ইতিহাস অত্যন্ত আবেগঘন।

jagonews24

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

১২টি দেশের শিল্পী ও কলাকুশলীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত মনমুগ্ধকর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ইউনেস্কোর শিক্ষা বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা এবং সহকারী মহাপরিচালক স্টেফানিয়া জিয়ান্নিনি।

তিনি বলেন, মাতৃভাষায় কথা বলা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। বিশ্বের প্রতিটা ভাষার নিজস্বতা রয়েছে। এ ভাষাগুলো যাতে হারিয়ে না যায় সে উদ্যোগ নিতে হবে।

মাতৃভাষা দিবসের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য দেন ফ্রান্সে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত হাইফা আল মগরিন, কাতারের রাষ্ট্রদূত আদম আল মুল্লা, সারবিয়ার রাষ্ট্রদূত তামারা রাস্তোভাক সিয়ামাসভিলি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদ এবং নির্বাহী পরিষদের সভাপতি, হাইতির শিক্ষামন্ত্রী এবং বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিকরা অংশ নেন।

jagonews24

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, চীন, রাশিয়া, ব্রাজিল, উজবেকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সার্বিয়া, আজারবাইজান, ইউক্রেন, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরবের শিল্পীরা তাদের বৈচিত্রময় পরিবেশনায় উপস্থিত দর্শকদের মাতিয়ে তোলেন।

বিজ্ঞাপন

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে ‘বহুভাষাবাদ’ এবং ‘ভাষার প্রতি ভালোবাসা’ প্রতিপাদ্যের ওপর দূতাবাস নির্মিত একটি অংশগ্রহণমূলক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় যেখানে ইউনেস্কোতে নিযুক্ত ৩৩টি দেশের রাষ্ট্রদূত তাদের নিজ নিজ ভাষার প্রতি ভালোবাসা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি চার শতাধিক অতিথি অংশ নেন।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - jagofeature@gmail.com