বর্ণাঢ্য আয়োজনে মালদ্বীপে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

মোহাম্মদ মাহামুদুল
মোহাম্মদ মাহামুদুল মোহাম্মদ মাহামুদুল
প্রকাশিত: ০৮:৪২ এএম, ২৭ মার্চ ২০২৩

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশন ৫৩তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে।

স্থানীয় সময় রোববার (২৬ মার্চ) সকালে দূতাবাস চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।

jagonews24

এরপর হাইকমিশনারের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও মালদ্বীপের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের উপস্থিতিতে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

সকাল ১০টার আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করেন মাওলানা তাইজুল ইসলাম। এরপর মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে তৃতীয় সচিব চন্দন কুমার সাহা, মিশনের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার (অ্যাকাউন্টস) শিরিন ফারজানা, কল্যাণ সহকারী আল মামুন পাঠান ও কনস্যুলার সহকারী ময়নাল হোসেন।

দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে মিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান মো. সোহেল পারভেজ স্বাগত বক্তব্য দেন।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সোহেল রানা এবং ভিউ কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী দুলাল হোসেন। পরে বড় পর্দায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার এস এম আবুল কালাম আজাদ বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের অপরিসীম ত্যাগ ও ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

jagonews24

হাইকমিশনার স্বাধীনতার স্বপক্ষে তৎকালীন প্রবাসীদের জনমত গঠনের বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া মালদ্বীপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশের উন্নয়নে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমকেআর/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]