মানুষের আমলনামা যেভাবে মাপা হবে

কেয়ামতের দিন মানুষের ভালো ও মন্দ কাজের পরিমাপ করা হবে। ভালো ও মন্দের ফলাফল অনুযায়ী তার পরবর্তী কর্মফল নির্ধারিত হবে। যে ভালো কাজ করবে সে হবে সফল। আর যার পাপের পাল্লা ভারি হবে সে ব্যর্থ হবে।
কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা মানুষের আমলের হিসাব গ্রহণের মাধ্যমে তার ইনসাফ তথা ন্যায়পরায়নতা প্রকাশ করবে। আল্লাহ তাআলা মানুষের আমলনামার হিসাব সম্পর্কে কুরআনে ঘোষণা করেছেন-
‘আর সে দিন যথার্থই ওজন হবে। অতঃপর যাদের দাঁড়িপাল্লা ভারি হবে, তারাই সফলকাম হবে। আর যাদের (আমলের) দাঁড়িপাল্লা হালকা হবে, তারাই এমন হবে, যারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করেছে। কেননা তারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করতো।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ৮ ও ৯)
কেয়ামতের দিন কোনো মানুষকে ওজন করা হবে না। মানুষের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বিচার করা হবে না। দুনিয়ার জীবনের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতেই মানুষের বিচার ও হিসাব গ্রহণ করা হবে। আবার এ বিচার ও হিসাবের ওপর ভিত্তি করেই পরকালের পুরস্কার প্রদান করা হবে। হাদিসে এসেছে-
আরও পড়ুন > মৃত্যুর স্মরণই পরকালে সফলতা লাভের উপায়
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কেয়ামতের দিন অনেক বড় মোটা তাজা মানুষকে নিয়ে আসা হবে; যার ওজন আল্লাহর কাছে মশার ডানার সমান হবে। তিনি (প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যদি চাও তবে আল্লাহর বাণী (সুরা কাহাফের ১০৫নং আয়াত) পড়-
‘আমি তাদের জন্য কেয়ামতের দিন কোনো ওজনই স্থির করবো না।’ (বুখারি, মুসলিম)
আল্লাহ তাআলা মানুষকে পরকালের কঠিন সময়ের মুখোমুখি হওয়ার আগেই তার জীবনের ভালো ও মন্দ কাজের সুসংবাদ ও দুঃসংবাদগুলো প্রকাশ করে দিয়েছেন। মানুষ যাতে ভালো ও মন্দ কাজের পার্থক্য নিরূপন করে জীবন সাজাতে পারে। পরকালের নাজাত লাভে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার কর্মফলের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর