দারিদ্র্য নিরসনে জাকাত সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা: ধর্ম উপদেষ্টা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩২ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৫

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘দারিদ্র্য নিরসনে জাকাত সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা। এর সুফল পেতে কোরআন-সুন্নাহর বিধান অনুসারে জাকাত আদায় ও বিতরণ করতে হবে। ইসলামের বিধান অনুসরণ ছাড়া জাকাতব্যবস্থার সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।

রোববার (২৩ মার্চ) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ইফার বায়তুল মোকাররম মিলনায়তনে ‘দারিদ্র্য বিমোচনে জাকাতের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘জাকাত আদায় করা ফরজ। কিন্তু আমাদের দেশে জাকাত আদায়কে অনেকেই ঐচ্ছিকভাবে নিয়েছেন। যার মন চায় সে জাকাত দিল আবার যার মন চাইল না সে দিল না। এ কারণে আমরা জাকাতের শতভাগ সুফল পাচ্ছি না।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, জাকাত আদায় করা ফরজ। কিন্তু আমাদের দেশে জাকাত আদায়কে অনেকেই ঐচ্ছিকভাবে নিয়েছেন। যার মন চায় সে জাকাত দিলো আবার যার মন চাইলো না সে দিলো না। এ কারণে আমরা জাকাতের শতভাগ সুফল পাচ্ছি না।

তিনি বলেন, বিশ্বে ৫৭টি মুসলিম দেশের মধ্যে মাত্র ছয়টি দেশে বাধ্যতামূলক জাকাত আদায় করা হয়ে থাকে। সৌদি আরব, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, সুদান ও ইয়েমেনে কোরআন-সুন্নাহর বিধান অনুসারে জাকাত আদায় ও বিতরণ করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশে তিন থেকে চার কোটি মানুষ দরিদ্র। এসব মানুষের দরিদ্রতা নিরসনে যথাযথভাবে জাকাত আদায় ও তা বিতরণ করতে হবে।

একটি সমীক্ষা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে ড. খালিদ বলেন, এ দেশের বছরে লাখ কোটি টাকা জাকাত আদায় করা সম্ভব। যথাযথভাবে এ টাকা আদায় ও বিতরণ করা সম্ভব হলে ১০ বছরের মধ্যে এ দেশের রাস্তায় ভিক্ষা করার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি কোরআন ও সুন্নাহর বিধান অনুসারে জাকাত আদায় ও বিতরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের(ইফা) মহাপরিচালক আঃ ছালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ইফা বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, ড. খলিলুর রহমান মাদানী, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার।

জাকাত আদায়ের ফজিলত তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, আমরা জাকাত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর হুকুম পালনের পাশাপাশি তার রহমত লাভ করে থাকি। জাকাতের মাধ্যমে বাজারে অর্থের সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এছাড়া জাকাতের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটে।

সরকারি জাকাত বোর্ডের কার্যক্রম তুলে ধরে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, এ বছর জাকাত বোর্ডের মাধ্যমে ১১ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে এবং আগামী বছর ২৫ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি সবাইকে সরকারি ফান্ডে জাকাতের অর্থ জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান।

জাকাত আদায়ের গুরুত্ব তুলে ধরে ইফার মহাসচিব বলেন, নামাজ, রোজা ও হজ পালনের পরও জাকাত আদায় না করলে আখিরাতে মুক্তি পাওয়া যাবে না।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক। অন্যান্যের মধ্যে জাকাত বোর্ডের সদস্য মুফতি মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আল আজহারী ও জাকাত তহবিল বিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ খান বক্তব্য দেন।

এছাড়া সেমিনারে ইমাম, খতিব, মাদরাসার শিক্ষক, সাংবাদিক ও আলেম-ওলামাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।