রমজানে বাহারি বাতিতে আলোকিত থাকে মিশর

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২৩

ইসলামি সংস্কৃতি ও সভ্যতার প্রাচীন জনপদ মিশর। অসংখ্য নবি-রাসুলের আগমন ঘটেছে এই জনপদে। বর্তমানেই ইলমে কেরাতে সুতিকাগার মিশর। মিশরী কারীদের সূরের মুর্ছনায় পুরো বিশ্ব মাতোয়ারা। এই মিশরীয়দের রমজানের রোজা পালনের সংস্কৃতি কেমন?

রঙ-বেরঙের বাতি জ্বালিয়ে রমজান বরণ
সভ্যতার আদিকাল থেকেই শানদার এ জাতির রমজানের রোজা পালনের রীতি খুবই চমৎকার। যেমন জমকালো তাদের সব কৃষ্টি ও নিদর্শন, তেমনি জমকালো সব বাতি জ্বালিয়ে রমজান উদযাপন করে। অনেকটা ফানুস আকৃতির এসব বাতি তৈরি হয় ধাতু ও রঙিন কাঁচ দিয়ে। নিখুঁত এসব কারুকাজ মূলত শতবর্ষব্যাপী প্রচলিত মিশরীয় সংস্কৃতির অসাধারণ সব সৃষ্টিকর্মকেই মনে করিয়ে দেয়। পুরো রমজান মাসে রাস্তা, দোকান, বাড়ির ছাদ—সর্বত্র ছেয়ে যায় এই বাতির আলো। রমজান মাসের মহিমা যেনো পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে আলো হয়ে।

মেসেহারাতিরা সেহরির জন্য ডাকে
মুসলিম সংস্কৃতির অংশ হিসেবে মিশরের রাস্তায় ‘মেসেহারাতি’ নামের একদল মানুষের দেখা মেলে। তাঁরা নিঃস্বার্থভাবে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে সবাইকে সেহরির জন্য জাগিয়ে দেন।

কমানো হয় কর্মঘণ্টা
রমজান মাসে মিশরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। রোজা পালনের সুবিধার্থে সরকারি অফিস-আদালতের কর্মঘণ্টা অন্য সময়ের তুলনায় কমানো হয়। এর ফলে মিশরের মানুষ ইবাদত এবং মসজিদে বেশি সময় ব্যয় করতে পারেন।

একসঙ্গে ইফতার আয়োজন
দেশটিতে পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে ইফতার পালনের সংস্কৃতি আছে। তবে, আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই সংস্কৃতিতে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে। আজকাল মিশরীয় তরুণরা ক্যাফে ও রেস্তোরাঁতেই ইফতার করতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।

দলবেঁধে তারাবিহ আদায়
তারাবির নামাজকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ সংস্কৃতি রয়েছে দেশটিতে। ইফতারের পরপরই দলবেঁধে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে তারাবির জন্য রওয়ানা হন মিশরীয়রা।

কামানের শব্দে সেহরি-ইফতার
বাংলাদেশে যেমন মসজিদে মসজিদে সাইরেন বাজানো কিংবা আজান দেওয়ার মাধ্যমে সেহরি এবং ইফতারের সময় জানানো হয়। মিশরীয়রা এ ক্ষেত্রে কামানের গোলার শব্দকে অনুসরণ করে সেহরি এবং ইফতার করে।

এমএমএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।