জিলকদের আইয়ামে বিজের রোজা ০৩-০৫ জুন

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৩ পিএম, ০১ জুন ২০২৩

জিলকদ হিজরি বছরের এগারোতম মাস। প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩-১৫ তারিখ রোজা রাখা সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ তিনদিন রোজা রাখতেন। প্রিয় নবির সুন্নাতের অনুসরণে মুসলিম উম্মাহ এ তিনদিন রোজা পালন করে থাকেন।

১৪৪৪ হিজরির চলতি জিলকদ মাসের ১৩-১৫ তারিখ হলো- ০৩, ০৪ ও ০৫ জুন মোতাবেক শনিবার, রোববার ও সোমবারযারা আইয়ামে বিজের তিনদিন রোজা রাখবেন; তাদের জন্য ০২ জুন (১২ জিলকদ) শুক্রবার দিবাগত রাতেই সেহরি খেতে হবে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক আরবি মাসের মধ্যভাগে ৩ দিন রোজা রাখতেন। উম্মতে মোহাম্মাদির জন্য এ তিনদিন রোজা রাখা সুন্নাত। তিনি সাহাবায়ে কেরামকে এ তিনদিন রোজা রাখতে বলেছেন।

আইয়ামে বিজের রোজার ফজিলত

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার ফজিলত ও গুরুত্বারোপ করে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে ঘোষণা করেছেন-

> হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখল; সে যেন সারা বছরই রোজা রাখলঅতঃপর এর সমর্থনে আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবে নাজিল করেন-

‘যে একটি নেকি নিয়ে আসে তার জন্য রয়েছে তার ১০গুণ’ অতএব একদিন ১০ দিনের সমান’ (তিরমিজি)

> হজরত আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা রাখতেন।’ (আবু দাউদ)

> হজরত ইবনু মিলহান আল-ক্বাইসি তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের আইয়ামে বিজের রোজার ব্যাপারে নসিহত করেছেন; আমরা যেন তা (মাসের) ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ পালন করি। তিনি আরও বলেছেন, এটা সারা বছর রোজা রাখার মতোই।’ (আবু দাউদ)

এছাড়াও আইয়ামে বিজের রোজা সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে-

হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম বেহেশতের নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার পর তাদের শরীর থেকে জান্নাতি পোশাক চলে যায়। আর তাদের শরীরের রংও কুৎসিত হয়ে যায়। অতঃপর হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুমে চন্দ্র মাসের তের, চৌদ্দ ও পনের তারিখে রোজা রাখলে আবার তাদের শরীরের রং পূর্বের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে যায়। তাই এই তিন দিনকে আইয়্যামে বিজ বা উজ্জ্বলতার দিন বলা হয়।

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার ফজিলত বর্ণনায় হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারি ও মুসলিমে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন রোজা পালন, সারা বছর রোজা পালনের সমান।’

উল্লেখ্য ৪টি সম্মানিত মাসের একটি এ মাস। হজের মাস হিসেবেও এটি সম্মানিত। সুতরাং এ মাসে আইয়ামে বিজের রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই মুমিন মুসলমানের একমাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।