জুমার ইমাম ছাড়া অন্য কেউ জুমার খুতবা দিতে পারেন?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
মসজিদে হারামে জুমার খুতবা দিচ্ছেন শেইখ উসামা খাইয়াত। ছবি: ইনসাইড দ্যা হারামাইন

জুমার দিন জুমার নামাজের পাশাপাশি জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে জুমার নামাজে উপস্থিত হলে, চুপ থেকে খুতবা শুনলে ও নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাআলা এক সপ্তাহের গুনাহ মাফ করে দেন। হাদিসে এসেছে,

مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَتَطَهَّرَ بِمَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ ثُمَّ ادَّهَنَ أَوْ مَسَّ مِنْ طِيبٍ ثُمَّ رَاحَ فَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ فَصَلَّى مَا كُتِبَ لَهُ ثُمَّ إِذَا خَرَجَ الإِمَامُ أَنْصَتَ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى

যে ব্যাক্তি জুমার দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর মসজিদে যায়, মানুষকে ডিঙ্গিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকে, তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমাণ নামাজ আদায় করে, ইমাম যখন খুতবার জন্য বের হন তখন চুপ থাকে, তার এ জুমা এবং পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ৯১০)

কিছু হাদিসে এ সব আমলের জন্য সাত দিন এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিন অর্থাৎ দশ দিনের গুনাহ মাফ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

জুমার নামাজ যিনি পড়াবেন, জুমার খুতবা তার দেওয়াই উত্তম। তবে এটা ওয়াজিব বা অপরিহার্য নয়। কোনো কারণে প্রয়োজন হলে নামাজের ইমামতি যিনি করবেন, জুমার খুতবা তিনি নাও দিতে পারেন। অন্য কাউকে খুতবা দেওয়ার দায়িত্ব দিতে পারেন। একইভাবে জুমার খুতবা দেওয়ার পর ইমাম নামাজ পড়াতে না পারলে খুতবায় উপস্থিত অন্য কেউ নামাজের ইমামতি করতে পারেন।

জুমার খুতবা প্রাপ্তবয়স্ক ও যোগ্যদেরই দেওয়া উচিত। তবে কোনো কারণে বুঝমান অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ জুমার খুতবা দিলেও জুমা হয়ে যাবে। যদিও অপ্রাপ্তবয়স্কের ইমামতি শুদ্ধ নয়, অপ্রাপ্তবয়স্ক ইমামের পেছনে জুমার নামাজ হবে না।

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।