বিড়ালের মুখ দেওয়া খাবার খাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন: বিড়াল কোনো খাবারে মুখ দিলে তা কি নাপাক হয়ে যায়? ওই খাবার কি আর খাওয়া যাবে?
উত্তর: বিড়ালের মুখে কোনো নাপাকি লেগে না থাকলে বিড়ালের মুখ দেওয়া খাবার নাপাক হয় না এবং খাওয়া নাজায়েজ হয় না, তবে তা অপছন্দনীয় বা মাকরুহ। দুধ, মাছ-গোশতের তরকারি বা অন্য যে কোনো খাবারে বিড়াল সাধারণ অবস্থায় মুখ দিলে তা খাওয়া জায়েজ, তবে না খাওয়া উত্তম।
আর যদি বিড়ালের মুখে কোনো নাপাকি লেগে থাকে, তাহলে বিড়াল মুখে দেওয়ার কারণে যতটুকু খাবারে ওই নাপাকি ছড়িয়ে পড়ে, ততটুকু খাবার নাপাক হয়ে যায় এবং খাওয়া হারাম হয়ে যায়। যেমন বিড়াল যদি ইঁদুর ধরে খায় এবং মুখে রক্ত লেগে থাকা অবস্থায় দুধে মুখ দেয়, তাহলে ওই দুধ নাপাক হয়ে যায় এবং তা খাওয়া হারাম হয়ে যায়।
বিড়াল যদি অজু বা গোসলের পানিতে মুখ দেয়, তাহলে ওই পানির হুকুমও এ রকমই। বিড়ালের মুখে নাপাকি লেগে না থাকলে পানি নাপাক হবে না। ইকরিমা (রহ.) থেকে বর্ণিত তিনি আবু কাতাদা আনসারিকে (রা.) দেখেছেন বিড়ালকে পানি পান করার জন্য পানির পাত্র কাত করে দিয়েছেন। বিড়ালটি পানি পান করার পর অবশিষ্ট পানি দিয়ে অজু করেছেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ৩৪৬)
তবে অন্য পানির ব্যবস্থা থাকলে বিড়ালে মুখ দেওয়া পানি দিয়ে অজু-গোসল করা মাকরুহে তানজিহি বা কিছুটা অপছন্দনীয় কাজ। নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বিড়ালের উচ্ছিষ্ট পানি দিয়ে অজু করতে অপছন্দ করতেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক: ৩৪০)
ইসলামে বিড়াল পালা জায়েজ। অনেক সাহাবি বিড়াল পালতেন বলে বর্ণিত রয়েছে। শর্ত হলো বিড়ালের যথাযথ যত্ন নিতে হবে, খাবার দিতে হবে। অনাহারে রাখা যাবে না। হাদিসে এসেছে, বনি ইসরাইলের এক নারী বিড়ালকে খাবার না দিয়ে আটকে রাখার কারণে জাহান্নামে গেছে। (সহিহ মুসলিম: ৫৭৪৫)
ওএফএফ