বাবা মেয়েকে না জানিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দিলে করণীয় কী?
ইসলামে বিয়ের আগে প্রাপ্তবয়স্ক কনের অনুমতি নেওয়া জরুরি। মেয়ের সম্মতি ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয় না। সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমে সংকলিত একটি বর্ণনায় এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন,
لاَ تُنْكَحُ الأَيِّمُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ. قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ أَنْ تَسْكُتَ
কোন বিধবা নারীকে তার স্পষ্ট সম্মতি বা নির্দেশনা ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী নারীকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দেওয়া যাবে না। সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কীভাবে অনুমতি নেবো? রাসুল (সা.) বললেন, তার চুপ থাকাটাই অনুমতি গন্য হবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
কোনো মেয়ের বাবা যদি তাকে না জানিয়ে কারো সাথে তার বিয়ে পড়িয়ে দেন, পরবর্তীতে জানার পর মেয়ে বাবার সিদ্ধান্তে সম্মতি দিতে পারে, অসম্মতও হতে পারে। মেয়ে যদি বাবার সিদ্ধান্তে সম্মতি দেয়, তাহলে ওই আকদ শুদ্ধ গণ্য হবে। মেয়ে অসম্মত হলে ওই আকদ বাতিল করে দিতে পারবে।
মেয়ের বিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে শরীয়ত বাবাকে অভিভাবক বানিয়েছে। কিন্তু তার এ অধিকার নেই যে, তিনি মেয়ের সম্মতি নেওয়া বা তাকে অবগত করা ছাড়াই বিবাহ দিয়ে দেবেন।
ইসলামে বিয়ের পদ্ধতি হলো, দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে এক পক্ষ ইজাব করেন বা প্রস্তাব দেন, আরেক পক্ষ গ্রহণ করেন বা কবুল করেন- এভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। সাধারণত বিয়ের ইজাব বা প্রস্তাব করা হয় কনেপক্ষের তরফ থেকে আর বর প্রস্তাব কবুল করেন। অভিভাবক যদি কনের সম্মতি নিয়ে দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে নিজে বা যিনি বিয়ে পড়াবেন তার মাধ্যমে প্রস্তাব দেন এবং বর ‘কবুল করলাম’ বলেন, তাহলে বিয়ে হয়ে যায়।
ওএফএফ/জেআইএম