ইসলামে যে বয়সে ছেলে-মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক গণ্য হয়

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৪ এএম, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ইসলামে অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের ওপর শরিয়তের বিধিবিধান ফরজ বা ওয়াজিব হয় না। তাদের ভালো ও মন্দ কাজের হিসাব-নিকাশ শুরু হয় না। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, তিন শ্রেণীর মানুষ হিসাবের বাইরে। ঘুমন্ত ব্যক্তি জেগে ওঠা পর্যন্ত, শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত ও পাগল ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত। (সুনানে আবু দাউদ: ৩০১৬)

ছেলে ও মেয়ে শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার কিছু আলামত শরিয়তে বলে দেওয়া হয়েছে। এগুলো না পাওয়া গেলে নির্দিষ্ট বয়সসীমাও রয়েছে যার ওপর ভিত্তি করে শিশুকে প্রাপ্তবয়স্ক গণ্য করা হয়।

ছেলে শিশুদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আলামত ৩টি

১. স্বপ্নদোষ হওয়া।

২. অন্য কোনোভাবে বীর্যপাত হওয়া

৩. দাড়ি-মোচ ওঠা

মেয়েদের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আলামত ৩টি

১. স্বপ্নদোষ হওয়া।

২. হায়েজ বা মসিকের রক্ত আসা।

৩. গর্ভধারণ করা।

কোনো ছেলে মেয়ের মধ্যে এ সব আলামতের কোনোটি প্রকাশ না পেলে হিজরী বর্ষ হিসাবে পনেরো বছর পূর্ণ হলে তাদেরকে শরিয়তে প্রাপ্তবয়স্ক গণ্য করা হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ওহুদ যুদ্ধের দিন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দেননি; তখন আমি ১৪ বছরের বালক ছিলাম। পরে খন্দকের যুদ্ধে যখন আমি ১৫ বছর বয়স্ক ছিলাম তখন তিনি আমাকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দেন। নাফে (রহ.) বলেন, আমি খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজের কাছে গিয়ে এ হাদিস শোনালে তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের সীমারেখা। তারপর তিনি তাঁর গভর্নরদের লিখিত নির্দেশ পাঠালেন যে যাদের বয়স ১৫ হয়েছে, তাদের যেন সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হয় এবং তাদের জন্য যেন ভাতা নির্দিষ্ট করা হয়। (সহিহ বুখারি: ২৬৬৪, সহিহ মুসলিম: ১৮৬৮)

ওএফএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।