সন্তানদের বিছানা পৃথক করতে হবে যে বয়সে

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৩ পিএম, ১৬ মে ২০২৪

সন্তানের উত্তম শিক্ষা ও তরবিয়তের ব্যবস্থা করা, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা বাবা-মায়ের দায়িত্ব। সন্তান যেন সুন্দর পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে, কোনোভাবে নিগ্রহ বা নির্যাতনের শিকার না হয়, কোনো খারাপ কাজে না জড়ায় সেদিকে তীখ্ন দৃষ্টি রাখতে হবে। 

নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাত বছর বয়সে সন্তানকে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিতে বলেছেন, দশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরও নামাজ না পড়লে প্রয়োজনে শাসন করতে বলেছেন, একইসাথে দশ বছর বয়সে সন্তানের বিছানা পৃথক করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। আমর ইবনে শোয়াইব (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,

 مُرُوا أَوْلاَدَكُمْ بِالصَّلاَةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرِ سِنِينَ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِى الْمَضَاجِعِ

তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাদেরকে নামাজ শিক্ষা দাও, দশ বছর বয়স হলে নামাজের জন্য তাদেরকে প্রহার কর আর তাদের পরস্পরের বিছানা আলাদা করে দাও। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৫) 

এ হাদিসের আলোকে ফকিহরা বলেন, দশ বছর হলে সন্তানদের বিছানা পৃথক করে দেওয়া ওয়াজিব। এ বয়সে বাবার সাথে মেয়েদের ও মায়ের সাথে ছেলেদের একই বিছানায় শোয়া নিষিদ্ধ। ছেলে ও মেয়েদের এক বিছানায় শোয়া নিষিদ্ধ, ছেলেদের পরস্পর ও মেয়েদের পরস্পর এক বিছানায় শোয়াও নিষিদ্ধ। তবে মায়ের সাথে এক মেয়ের বা বাবার সাথে এক ছেলের ঘুমানো জায়েজ।

বিছানা পৃথক হওয়া মানে প্রত্যেক সন্তানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রুমের ব্যবস্থা করে দিতে হবে তা নয়। বরং এক রুমে ভিন্ন খাট, চকি বা ভিন্ন বিছানার ব্যবস্থা করলেও হবে। একান্ত অপারগতার ক্ষেত্রে ছেলেদের এক খাটে শোয়ার ব্যবস্থা করা যায়, তবে তাদের মাঝখানে যেন যথাযথ দূরত্ব থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে এবং কোলবালিশ বা এ ধরনের কিছু দিয়ে হলেও দুজনের জায়গা পৃথক করে দিতে হবে। 

আর মেয়েদের বিছানা বাবা ও ছেলেদের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হওয়া জরুরি। ওই ক্ষেত্রে শুধু দূরত্ব বা বালিশের আড়াল গ্রহণযোগ্য নয়। (আদ্দুররুল মুখতার, রদ্দুল মুহতার: ৬/৩৮২)

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।