ফরজ গোসলে নাক-কানের ছিদ্রে পানি পৌঁছানোর বিধান

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ২৩ মে ২০২৪

ফরজ গোসলের সময় কুলি করা, নাকি পানি দেওয়া ও পুরো শরীর ভালোভাবে ধৌত করা ফরজ। কোরআনে গোসল ফরজ হলে ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জনের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوۡا

যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে ভালোভাবে পবিত্র হও। (সুরা মায়েদা: ৬)

নারীদের মধ্যে যারা নাক-কান ছিদ্র করে অলঙ্কার পরিধান করে, তারা যদি অলঙ্কার পরে থাকে তাহলে ফরজ গোসলের সময় অলঙ্কার নাড়াচাড়া করে ছিদ্রে পানি পৌছানো জরুরি।

অলংকার না পরে থাকলে পানি যদি এমনিতেই কানের ছিদ্রে পৌঁছে যায় তাহলে পানি ঢেলে দিলেই হবে ৷ ছিদ্র সঙ্কীর্ণ হওয়ার কারণে পানি না পৌছানোর সম্ভাবনা থাকলে হাত দিয়ে ঐ জায়গায় নাড়াচাড়া করবে যেন ছিদ্র থাকলে পানি পৌঁছে যায়, এতেই গোসল শুদ্ধ হয়ে যাবে। কাঠি ঢুকিয়ে নাড়ানোর প্রয়োজন নেই।

যদি দীর্ঘ দিন অলঙ্কার না পরার কারণে অলঙ্কারের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ওপরে পনি ঢেলে দিলেই গোসল হয়ে যাবে ৷

ফরজ গোসলের উত্তম পদ্ধতি

ফরজ গোসলের আবশ্যক বা ফরজ কাজ হলো ১. কুলি করা, ২. নাকে পানি দেওয়া, ৩. পুরো শরীর ধৌত করা। এই তিনটি ফরজ আদায় করলেই গোসল হয়ে যায়। তবে উত্তম হলো এভাবে গোসল করা:

১. বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম (بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْم) বলে গোসল শুরু করা। তবে গোসলখানা ও টয়লেট একসঙ্গে থাকলে বিসমিল্লাহ মুখে উচ্চারণ করে বলা যাবে না।

২. দুই হাত ধোয়া। অর্থাৎ উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।

৩. লজ্জাস্থান ধোয়া। বাম হাতে পানি দ্বারা লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা। সম্ভব হলে ইস্তিঞ্জা তথা প্রস্রাব করে নেওয়া। এতে নাপাকি সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যাবে।

৪. নাপাকি ধোয়া। কাপড়ে বা শরীরের কোনো অংশে নাপাকি লেগে থাকলে তা ধুয়ে নেওয়া।

৫. অজু করা। পা ধোয়া ছাড়া নামাজের অজুর ন্যায় অজু করে নেওয়া।

৬. অতঃপর ফরজ গোসলের তিন কাজ- কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া এবং ‍পুরো শরীর ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া। যাতে শরীরের একটি লোমকুপও শুকনো না থাকে।

৭. পা ধোয়া। সবশেষে গোসলের স্থান থেকে একটু সরে এসে উভয় পা ভালোভাবে ধোয়া।

ওএফএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।