উচ্চৈস্বরে নামাজের নিয়ত করা কি বিদআত?

ইসলাম ডেস্ক
ইসলাম ডেস্ক ইসলাম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৪
প্রত্যেকটি কাজের প্রতিদান আমরা পাবো আমাদের নিয়ত অনুযায়ী

আমাদের প্রত্যেকটি কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত বা প্রত্যেকটি কাজের প্রতিদান আমরা পাবো আমাদের নিয়ত অনুযায়ী। ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى
প্রত্যেক কাজ নিয়তের সাথে সম্পর্কিত। মানুষ তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। (সহিহ বুখারি: ১)

নিয়ত হল মনে কোনো কাজের দৃঢ় ইচ্ছা করা। এই ইচ্ছা সব আমলের জন্য জরুরি। নামাজের জন্যও জরুরি। কেউ যখন নামাজে দাঁড়াবে, তার অন্তরে নিয়ত থাকতে হবে, তার জানা থাকতে হবে যে সে নামাজ শুরু করছে, কোন নামাজ শুরু করছে, কত রাকাত নামাজ সে পড়বে ইত্যাদি।

অন্তরের এই ইচ্ছা ও জানা থাকার নামই নিয়ত। মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা জরুরি নয়। তবে কেউ যদি অন্তরের নিয়তের পাশাপাশি নিয়তের বিষয়টি মুখেও উচ্চারণ করতে চায় তবে তারও অবকাশ আছে। কেউ মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করলে তা নাজায়েজ বা বিদআত হবে না।

ফরজ নামাজগুলোতে কোন নামাজ আদায় করা হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে জানা থাকা জরুরি। যেমন, ফজরের ফরজ নামাজ পড়ছি, জোহরের ফরজ নামাজ পড়ছি এভাবে কোন ফরজ নামাজ তা নির্দিষ্ট নিয়ত থাকতে হবে। ফরজ নামাজ ছুটে গেলে কাজা আদায়ের ক্ষেত্রেও ওয়াক্ত নির্দিষ্ট করে নিয়ত থাকা জরুরি। আর বিতর নামাজের সময় বিতর নামাজ পড়ছি এ রকম নিয়ত থাকলেই হবে।

ফরজের সাথে প্রতি ওয়াক্তে আমরা যে সুন্নত নামাজগুলো আদায় করি, সেগুলোতে ওয়াক্ত নির্দিষ্ট করে নিয়ত থাকা ভালো, কিন্তু জরুরি নয়। এ সব নামাজ শুধু ‘নামাজ আদায় করছি’ এ রকম নিয়তে আদায় করলেও হয়ে যাবে। কেউ যদি ফজরের আগে দুরাকাত, জোহরের আগে চার রাকাত, মাগরিবের পর দুরাকাত বা ইশার পর দুরাকাত নামাজ শুধু নামাজ পড়ার নিয়তে আদায় করে তাহলে তা ওই ওয়াক্তের সুন্নত হিসেবেই আদায় হবে।

এ ছাড়া অন্যান্য নফলের ক্ষেত্রেও শুধু ‘নামাজ আদায় করছি’ বা ‘নফল নামাজ আদায় করছি’ এমন নিয়ত থাকাই যথেষ্ট।

ওএফএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।