খুলনার বাজারে সবজিতে স্বস্তি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি খুলনা
প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ২২ জুন ২০২৫

গত সপ্তাহের তুলনায় খুলনার বাজারে সবজির দাম অনেকটা কমেছে। প্রায় সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এছাড়া ঈদের পর থেকে দীর্ঘ ছুটির কারণে প্রায় ক্রেতাশূন্য বাজার এখন জমে উঠেছে।

রোববার (২২ জুন) নগরীর গল্লামারি বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, নতুন বাজার, রুপসা বাজার, নিউ মার্কেট, খালিশপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, পটোল ৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৩০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, লাল শাক কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০-১২০ টাকা কেজি, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা কেজি, আলু ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা ২৫ টাকা হালি, শসা ৭০-৮০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা এবং রসুন ৮০-১০০ টাকা।

খুলনার বাজারে সবজিতে স্বস্তি

মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে রুই মাছ ২৫০-৩০০, টেংরা ৪০০-৫০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৬০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, দেশি কই মাছ ১৫০ টাকা এবং পাঙাস মাছ ১৩০-১৬০ টাকা কেজির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে বেচাকেনা বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে এ সপ্তাহে কিছু সবজির দাম কমেছে। আবার অনেক সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে ফলন ভালো হলে এবং সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।

গল্লামারি বাজারের সবজি বিক্রেতা কারিমুল বলেন, এ সপ্তাহে বিক্রি বেড়েছে। সবজির দাম অনেকটা কম। শাক জাতীয় তরকারি ৩০-৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে অনাবৃষ্টি না হলে দাম এমনটা স্থিতিশীলই থাকবে।

খুলনার বাজারে সবজিতে স্বস্তি

গল্লামারি বাজারের মাছ বিক্রেতা আসলাম মিয়া বলেন, মাছের দাম বাড়েনি, আবার কমেওনি। যা ছিল তাই আছে। মাছের ফিডের দাম বেশি হওয়ায় মোকামে মাছের দাম একটু বেশি। ঘেরের বিভিন্ন মাছের দাম ১৫০-৫০০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

নতুন বাজারের মাছ বিক্রেতা রফিক বলেন, গত সপ্তাহে মাছের বিক্রি তেমন ছিল না। সবকিছু খোলায় মাছের বিক্রি বেড়েছে। তবে সীমিত লাভে মাছ বিক্রি করতে হচ্ছে। বেশি দাম শুনলে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে চলে যান।

নতুন বাজারে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, শাক সবজির দাম অনেকটা কমেছে। মুরগির দামও অনেকটা কম রয়েছে। সব কিছুর দাম নাগালে থাকলে মনে স্বস্তি লাগে।

রুপসা বাজারে আসা তাহমিদ আহমেদ বলেন, সপ্তাহে প্রায় দিন এই বাজার থেকেই সদয়পাতি কিনি। অন্যান্য বাজারে তেমন একটা যাওয়া পড়ে না। তাই দাম যাচাই বাছাই কম করা হয়। তবে মুরগির দাম ঈদের আগে থেকেই কম।

মিস্ত্রিপাড়া বাজারে আসা হাবিব বলেন, ব্যাচেলর থাকি, রোজকারের বাজার রোজই করা লাগে। তরকারির দাম প্রতি সপ্তাহে ওঠা নামা করে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

আরিফুর রহমান/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।