পঞ্চগড়ের প্রাচীন ঐতিহ্য মির্জাপুর শাহী মসজিদ


প্রকাশিত: ০৯:০৮ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মির্জাপুর শাহী মসজিদ। পঞ্চগড় জেলার অাটোয়ারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর নামক গ্রামে মসজিদটি অবস্থিত। জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মির্জাপুর শাহী মসজিদটি মোগল আমলের সুপ্রাচীন নির্দশন। মসজিদটি ৩৬১ বছরের সুপ্রাচীন স্থাপনা।
Mirjapur
উইকেপিডিয়ার তথ্যমতে, মির্জাপুর শাহী মসজিদটি কে নির্মাণ করেছেন, সে তথ্য পাওয়া না গেলেও মসজিদের শিলালিপি ঘেঁটে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ধারণা করেন, মির্জাপুর শাহী মসজিদটি ১৬৫৬ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হাইকোর্ট সংলগ্ন মসজিদের সঙ্গে মির্জাপুর শাহী মসজিদের নির্মাণশৈলীর মিল রয়েছে।
Mirjapur
মসজিদের গাঁয়ে সাঁটানো ফার্সি ভাষার শিলালিপি প্রমাণ করে যে, ইরানি বা ফার্সিদের দ্বারা নির্মিত এ মসজিদটি তিন গুম্বুজবিশিষ্ট। মসজিদের চার কোনায় চারটি মূল স্তম্ভ রয়েছে। যেগুলোর প্রতিটি মিনার সাদৃশ কারুকার্যে নির্মিত।

মসজিদটি নির্মাণে অনেকের নাম শোনা যায়, তাদের মধ্যে মির্জাপুর গ্রামের মালিক উদ্দীন, দোস্ত মোহাম্মদ। আবার মোগল শাসক শাহ সুজার শাসনামলে এ মসজিদ নির্মিত হয়েছে বলেও মনে করা হয়।
Mirjapur
মসজিদের গুম্বুজগুলোর ভেতরের অংশে কারুকার্য খচিত অনিন্দ সুন্দর নকশা রয়েছে। চার পাশের দেয়ালে লতাপাতাসমৃদ্ধ নকশায় মসজিদটিকে আরও সুন্দর ও দর্শনীয় করে তুলেছে।
Mirjapur
মসজিদটি লম্বায় ৪০ ফুট এবং চওড়ায় ২৫ ফুট। অনেক আগে ভূমিকম্পে মসজিদটির কিছু অংশ ভেঙে যায়। তখন মির্জাপুর গ্রামের অধিবাসী মালিক উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি ইরান থেকে কারিগর এনে মসজিদটি সংস্কার করেন।
Mirjapur
প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের সুপ্রাচীন মসজিদটি যে কারিগর ও শ্রমিকরা নির্মাণ করেছেন; তাদের গভীর আন্তরিকতা ও যত্নের প্রমাণ বহন করে মসজিদটি। সে কারণেই অনেক বছর পরও মসজিদের গাঁথুনি, দেয়াল, প্লাস্টার, নকশা ও কারুকাজ শক্ত ও মজবুতভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে, যা সুপ্রাচীনকালেও মুসলমানদের ঐতিহ্যের প্রমাণ বহন করে।

এমএমএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।