বিশ্বনবীর মুযিযা


প্রকাশিত: ০৫:৪১ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ষষ্ঠ হিজরী সালের কথা। সে বছরটি তিতা-মিঠায় ভরপুর নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল। যা ছিল মুসলমানদের জন্য এক মহা বিজয়। কুরআনে আল্লাহ তাআলা হুদায়বিয়ার সন্ধি স্থাপনকে সুস্পষ্ট বিজয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪০০ সাহাবা নিয়ে পবিত্র হজ পালনে মক্কাভিমুখে রওয়ানা হয়ে হুদায়বিয়ায় পৌছলে মক্কার কুরাইশরা মুসলিম কাফেলাকে বাঁধা দেয়। সেখানেই ঘটে মুসা আলাইহিস সালামের পানির সমাধানের চেয়ে আরও এক আশ্চর্যজনক ঘটনা।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাগণ প্রচণ্ড পানির পিপাসায় ভুগছিল। এমতাবস্থায় তাঁরা বিশ্বনবীর নিকট পানির কষ্টের কথা প্রকাশ করলেন। তখন তিনি বললেন, যদি তোমাদের নিকট সামান্য পানিও থাকে তবে তা নিয়ে আস।
একটি পাত্রের খুবই সামান্য পানি বিশ্বনবীর সামনে পেশ করা হলো। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে পানিতে তাঁর পবিত্র হাতখানা রাখলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর আঙ্গুলগুলো থেকে অলৌকিকভাবে পানি বের হতে লাগলো। তিনি সাহাবাগণকে নির্দেশ দিলেন, যার যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন, সে অনুযায়ী পানি এখান থেকে নিয়ে যাও। অল্প সময়ের মধ্যেই চৌদ্দশত সাহাবা আল্লাহ তাআলার বিশেষ কুদরতে প্রবাহিত এ পানি দ্বারা নিজেদের প্রয়োজন পূর্ণ করলেন। এটি ছিল সত্যিই বিস্ময়কর।
আল্লাহ তাআলা তাঁর নবিগণের দ্বারা এমন অলৌকিক ঘটনাবলী তথা মুযিযা প্রকাশ করেন যা শুধু যে বিস্ময়কর হয় তা নয়, বরং মানুষকে আল্লাহ ও তাঁর নবিগণের উপর ঈমান আনয়নের জন্যও সহায়ক হয়। যেমনি ভাবে আল্লাহ তাআলা পয়গাম্বর মুসা আলাইহিস সালামকেও অসংখ্য মুযিযা দ্বারা সাহায্য করেছিলেন।

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, সঠিক পথ ও মতের উপর থেকে দুনিয়ার জীবন অতিবাহিত করে আখিরাতের স্থায়ী জীবনে সফলতা লাভের চেষ্টা করা। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।