সহনীয় পর্যায়ে শীতকালীন সবজির দাম
টমেটো, আলু, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেড়শ, করলা, বরবটি, কুমড়া, চিচিঙ্গাসহ সব শীতকালীন সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে টমেটো এবং আলুর দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। চাহিদা ও ফলন বাড়াতে এক সময়ের অপরিচিত ও দামি সবজি ব্রুকলি এখন বিক্রি হচ্ছে ফুলকপির চেয়েও কম দামে।
শীতের সবজির উৎপাদন ও সবরবাহ যথাযথ মাত্রায় ছিলো বলে এ বছর সবজির বাজারকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন আড়ৎদার ও সবজি বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে কাওরান বাজারের সবজি আড়ৎদার মো. সালাউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, এবার শীতে প্রান্তিক আবাদীদের কাছ থেকে আড়ৎ পর্যন্ত সরবরাহ ছিলো নির্বিঘ্ন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় কাঁচামাল বা সবজি বহনকারী গাড়িগুলো রাজধানীতে এসেছে নির্বিঘ্নে। একই মত প্রকাশ করেছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়িরা। 
এদিকে শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, মহাখালীর কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।
শেওড়াপাড়া কাঁচাবাজারে কথা হয় ইব্রাহীমপুরের বাসিন্দা আহসান হাবিবের সঙ্গে। তিনি জানান, কাঁচাবাজার এখন সহনীয় পর্যায়ে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ব্রুকলি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০ টাকায়। এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। ফুলকপি আকার ভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। শিমের কেজি ২০ টাকা। বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা টাকা, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা, গাজর ২০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা, শশা ৩০ টাকা। মিষ্টি কুমড়া ২০ থেকে ২৫ টাকা বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
এছাড়া কচুর লতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। প্রতি আঁটি লাউ শাক ২৫ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ২০ টাকা, পালং শাক প্রতি আটি ১০ টাকা। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসি ৫৫০-৬০০ টাকা, কেজি প্রতি ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২৫০, সিলভার কার্প ১২০-১৫০ টাকা, আইর মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫০০-১১০০ টাকা, পুঁটি ১৮০-২০০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ২২০-৩০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৩৫০-৫০০ টাকা, শিং ৫০০-৭০০, দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৬০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারি ভোগ ৮৫ টাকা, কালো জিরা প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০-১২০ টাকায়। বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছে ৪০-৪৫ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৪৮-৫৬ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
আরএম/জেএইচ/পিআর