বিমানবন্দরে সুবিধাবঞ্চিত যাত্রী-অতিথিরা


প্রকাশিত: ০৭:২১ এএম, ১৪ মার্চ ২০১৬

পৃথিবীর প্রায় সব বিমানবন্দরে যাত্রীদের বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি অতিথিদের আপ্যায়ন ও বাচ্চাদের খেলার জায়গা থাকলেও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চিত্র ভিন্ন। এখানে অতিথি দূরের কথা যাত্রীদের জন্য নেই মৌলিক কোন সুযোগ সুবিধা। নিরাপত্তার অযুহাতে বিমানবন্দরে অতিথিদের বসার কিংবা দাঁড়ানোর অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে  অভিযোগ  রয়েছে। বিমানবন্দর এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।   

সম্প্রতি সৌদি আরবগামী যাত্রী মোতাহারের বাবা জমির উদ্দিন জাগো নিউজকে জানান, বিমানবন্দরে আপনজনকে বিদায় দিতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে গেট থেকে ফিরে যাচ্ছি। পুলিশ উপরে যেতে দিলো না। অশ্রুসিক্ত জমির উদ্দিনের প্রশ্ন, তাকে ছেলের সঙ্গে উপরে উঠতে দিলে এমন কি ক্ষতি হতো। শেষবারের মতো প্রিয়জনের আলিঙ্গনের আশাটুকু পূরণের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে নিরাপত্তার অযুহাতে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, একই ফ্লাইটে বিমানবন্দরে আপনজনকে বিদায় জানাতে এসে টার্মিনাল থেকে আনুমানিক দুই হাজার গজ দূরে দাঁড়িয়ে কর্মরত আর্ম পুলিশের সদস্যর সঙ্গে আক্ষেপের স্বরে কথা বলছেন গাজীপুর থেকে আসা আব্দুল মজিদ। কী হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেকে বিদায় দিতে এসেছিলাম। ছেলের সঙ্গে আমাকে বহির্গমন গেট অবদি যেতে দিচ্ছে না। আমাদের কষ্টার্জিত অর্থে চলা বিমানবন্দরে নিরাপত্তার অভিযোগে প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে, এটি অন্যায়।

বিমান বন্দর আগত ও বিদেশগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে এখানে প্রতিনিয়ত চলে যাত্রী হয়রানি। বিমানবন্দরে কর্মরত কথিত যাত্রীসেবকদের কাছ থেকে কোন সেবাই পাওয়া যায় না। পেলেও তা পয়সার বিনিময়ে।

এ বিষয়ে বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার জাহান বলেন, আমরা চাইলেও অনেক কিছু পারি না। রাষ্ট্রের প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাজনিত কারণে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা যখন জোরদার করতে বলা হয় তখন আমরা নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা করি। আবার নির্দেশনা পাওয়ার পর তা শিথিল করি।

তিনি আরো বলেন, অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেকটা কঠোর করা হয়েছে। এটি উপরের নির্দেশে করা হয়েছে, এ বিষয়ে এ চাইতে বেশি কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

আরএম/জেএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।