মাস্ট ক্যাচ অ্যানি হাউ বাট জুনায়েদ উধাও!
মামলা দায়েরের দুইদিন পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর ধানমন্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের এ লেভেলের ছাত্র নুরুল্লাহর ওপর নির্যাতনকারী বখাটে জুনায়েদ আল ইমদাদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, জুনাইদকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের স্পষ্ট নির্দেশ (মাস্ট ক্যাচ এনি হাউ) রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সে আত্মগোপনে রয়েছে।
তাকে খুঁজে না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. নুরুল হক বুধবার দুপুরে জাগো নিউজকে জানান, মামলার বাদী যে আসামির বাড়ির যে নাম, ঠিকানা দিয়েছে সে এলাকায় ওই ঠিকানার কোন হোল্ডিং নাম্বার নেই। আসামি ও আসামির বাবার যে মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে তার সব কটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। নুরুল্লাহ বা অন্যান্য বন্ধু বান্ধবদের জুনায়েদের সাথে সখ্যতা থাকলেও কেউ তার বাসায় যায়নি বা বাসা চেনে না। তবে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে জুনায়েদ সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
এদিকে ৪৮ ঘণ্টা পরও জুনায়েদের মতো বখাটে যুবক গ্রেফতার না হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা। জুনায়েদকে গ্রেফতারে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তাদের মন্তব্য, মোবাইল কোম্পানির মাধ্যমে জুনায়েদের নাম ঠিকানা খুব সহজেই পুলিশ সংগ্রহ করতে পারে। তাছাড়া মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করা কঠিন কাজ না।
তাছাড়া জুনায়েদের বাবা একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জুনায়েদের ফেসবুকেও বলা রয়েছে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুনায়েদের নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর জুনাইদের সঙ্গে এক যুবকের কথোপকথন ও ওই ঘটনার জন্য জুনায়েদের ক্ষমা চাওয়ার আরেকটি ভিডিও আপলোড হয়েছে। যুবকের সঙ্গে কথোপকথনে ওই যুবক ঘটনা ঘটানোর জন্য জুনায়েদকে বকাঝকা ও মাইরের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে ক্ষমা চেয়ে ভিডিও আপলোড করার জন্য শাসাতে দেখা গেছে। জুনায়েদকে সেখানে ঠাণ্ডা কণ্ঠে কথা বলতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, আইসিটি অ্যাক্টে জুনায়েদের বিরুদ্ধে যে সব ধারায় মামলা হয়েছে তা অজামিনযোগ্য ও শাস্তিযোগ্য।
গত রোববার জুনায়েদ তার পূর্ব পরিচিত নুরুল্লাহকে ধানমন্ডিতে ডেকে নিয়ে টানা ১০ মিনিট উপর্যুপরি কিল, ঘুষি, লাথি, গালিগালাজ করে ও তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। ফেসবুকে নির্যাতনের দৃশ্য দেখে ব্যাপক সমালোচনা ও জুনায়েদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি ওঠে।
এমইউ/এসএইচএস/আরআইপি