ক্রিকেটারদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ পাপনের
প্রিমিয়ার লিগ তো বন্ধ হয়ে গেল। এখন ক্লাব ও ক্রিকেটাররা কি করবেন? তাদের প্রতি বোর্ডের নির্দেশনা কি? প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো কি প্র্যাকটিস চালিয়ে যাবে? ক্রিকেটাররা ক্লাব অনুশীলন কিংবা ব্যক্তিগত প্র্যাকটিস করতে পারবেন? নাকি সবই আপাততঃ বন্ধ?
এ সময়োচিত ও কৌতুহলি প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দিচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিসিবি অফিসে সাংবাদিকদের সাথে কথোপকোথনের সময় এ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
জবাব দিতে গিয়ে বিসিবি সভাপতি সরাসরি হ্যাঁ কিংবা না কিছুই বলেননি। তবুও এক লম্বা চওরা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যার সারমর্ম হলো আপাততঃ শুধু মাঠের খেলাই বন্ধ নয়। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ও করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে সব ধরনের অনুশীলনও বন্ধ।
মাঠে গিয়ে অনুশীলন করা বহুদুরে, সম্ভব হলে বা খুব দরকার না পড়লে ক্রিকেটারদের ঘরের বাইরে না যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অনেক কথার ভিড়ে বিসিবি বিগ বস ক্রিকেটারদের জানিয়ে দিয়েছেন, একদম না পারলে বাড়ির বাইরে না যাওয়াই ভাল। এছাড়া অন্য কারো সংস্পর্শে যত কম আসা যায়, সে চেষ্টাও করতে হবে। বলছি না লকডাউন করতে হবে, করতে পারলে ভাল হত। মোটকথা ওদেরকে (ক্রিকেটারদের) সাবধানে থাকতে হবে।’
এদিকে বিসিবি সভাপতি স্বীকার করেছেন যে লিগ বন্ধ করা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত ছিল। তিনি বলেন, ‘প্রথমে মনে হয়েছে খেলোয়াড়রাও খেলতে চাচ্ছে। কিছু কিছু ক্লাবও চাচ্ছিল লিগ চালাতে; কিন্তু এখন ভিন্নমত আসছে।’ তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন , এখন আসলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্রিকেটের সব খেলা বন্ধ রাখাই উত্তম ও যুক্তিযুক্ত।
তার ভাষায়, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা খেলা স্থগিত করছি। পরিস্থিতি যদি উন্নয়ন হয় তাহলে আমরা খেলা চালু করব।’
তবে সেটা কবে? তারও নির্দিষ্ট সময় বলতে পারেননি পাপন। তার ভাষায়, ‘কারণ প্রতিদিন পরিস্থিতি বদল হচ্ছে। আমরা যদি জানতে পারতাম ৩১ মার্চের পর উন্নতি হবে, তাহলে ৩১ মার্চ বলতাম। তখন সব ঠিক হবে না আরও খারাপ হবে সেটা তো আমরা বলতে পারছি না।’
লিগ শুরুর ব্যাপারে বিসিবি সভাপতির শেষ কথা, ‘তবে আমার মনে হয় না ১৫ এপ্রিলের আগে ডিপিএল শুরুর সম্ভাবনা আছে। বরং এটা বাড়তেও পারে। শুধু খেলোয়াড়দের না, প্রত্যেক মানুষের সতর্ক হওয়া উচিত এই করোনাভাইরাস নিয়ে। কাজেই এখন ক্রিকেট খেলার পরিস্থিতি নয়। যদিও অন্য খেলার চেয়ে ক্রিকেটে বডি কন্টাক্ট কম। তারপরও যত বেশি দূরে থাকা দরকার, তার চেয়ে দূরে থাকে ফিল্ডাররা। আমরা মনে করি এটা খেলার সময় নয়।’
এআরবি/আইএইচএস/পিআর