করোনাভাইরাস মানুষকে দয়াশীল বানাচ্ছে : কোহলি

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে অন্য সবার মতো লকডাউনের মধ্যেই রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। স্ত্রী আনুশকা শর্মার সঙ্গে নানান খুনসুঁটির পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কাজেই ব্যয় হয়েছে অফুরান অবসরের সময়টা।

এই যেমন মঙ্গলবার রাতে ‘আনএকাডেমি’ কর্তৃক আয়োজিত একটি অনলাইন ক্লাসে তিনি নানান দিকনির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের। সেখানে যেমন বলেছেন নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের কথা, তেমনি দিয়েছেন জীবনমুখী নানান পরামর্শও।

আলোচনার মধ্যেই কোহলি খুঁজে পেয়েছেন করোনার একটি ইতিবাচক দিক। তার মতে লকডাউনের পর সমাজের সবাই একে অপরের প্রতি আরও দয়াশীল ও দায়িত্ববান হবে বলে মনে করেন কোহলি।

আনএকাডেমির অনলাইন ক্লাসে কোহলি বলেন, ‘এই করোনা পরিস্থিতির একটা ইতিবাচক দিক হলো যে, সমাজের সবাই এখন দয়াশীল হতে শিখছেন। আমরা সবাই এখন ফ্রন্টলাইন ফাইটারদের আরও বেশি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেটা হোক পুলিশ, চিকিৎসক বা নার্স। আমি আশা করি এটা লকডাউন শেষের পরেও থাকবে।’

ভারতীয় অধিনায়ক মনে করে করোনাভাইরাস পুরো পৃথিবীকেই একটা শিক্ষা দিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘জীবন নিশ্চিত। তাই সেটাই করুন যা আপনাকে খুশি করে। অন্যের সঙ্গে তুলনায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। সবার নিজস্ব চিন্তাধারা আছে। সবাইকে এটা করার সুযোগ দেয়া উচিৎ। করোনার পরে জীবন অন্যরকম হয়ে যাবে।’

কোহলির পাশাপাশি এই অনলাইন সেশনে কথা বলেছেন আনুশকাও। তার মতে জীবনের মৌলিক জিনিসগুলোর প্রতি যত্ন নিতে বাধ্য করেছে এই মহামারী। যা পরবর্তী জীবনে কাজে লাগবে বলে মনে করেন তিনি।

আনুশকা বলেছেন, ‘এই যে বর্তমান পরিস্থিতি, এতে সবার জন্যই শিক্ষা রয়েছে। কোনকিছুই কারণ ছাড়াই হয় না। যদি ফ্রন্টলাইন যোদ্ধারা না থাকতেন, তাহলে আমরা হয়তো মৌলিক জিনিসগুলোর দিকে খেয়াল করতাম না। এটা আমাদের শেখাচ্ছে কেউই আলাদা নই। স্বাস্থ্যই সবকিছু। আমরা এখন সামাজিকভাবে আগের চেয়েও বেশি জড়িয়ে আছি।’

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।