লকডাউনে আবারও শচিন, দাঁড়ালেন ৪ হাজার মানুষের পাশে
করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সাহায্যে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার এবং ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলে ৫০ লক্ষ রুপি অর্থ সাহায্য দিয়েছিলেন আগেই। এরপর করোনার কারণে লকডাউনের মাঝে দুঃস্থ মানুষের কথা ভেবে সেখানেই থেমে থাকেননি মাস্টার-ব্লাস্টার শচিন টেন্ডুলকার। ‘আপনালয়’ নামক এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে পাঁচহাজার মানুষের একমাসের রেশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তিনি।
একমাস না ঘুরতেই আবারও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ভারতের এই ‘ব্যাটিং গ্রেট’। এবার অন্য একট স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে ৪ হাজার পিছিয়ে পড়া মানুষকে আর্থিকভাবে সাহায্য করলেন ১০০ সেঞ্চুরির মালিক।
‘হাই ফাইভ’ নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে মুম্বাইয়ে দিনে এনে দিন খাওয়া চারহাজার মানুষকে আর্থিকভাবে সাহায্য করলেন ভারতের লিটল মাস্টার। এর মধ্যে রয়েছে বৃহন্মুম্বাই মিউনসিপ্যাল কর্পোরেশন স্কুল।
তবে এবার সাহায্যখাতে ঠিক কত অর্থ দান করেছেন শচিন, সেটা গোপন রাখা হয়েছে উভয় পক্ষের তরফ থেকেই। এ নিয়ে টুইট করেন শচিন। তিনি লেখেন, ‘দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে হাই ফাইভের এমন একটা প্রচেষ্টার জন্য তাদের শুভেচ্ছা।’
জবাবে মাস্টার ব্লাস্টারকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছে হাইফাইভ সংস্থাটি। টুইটে তারা বলেছে, ‘এই কঠিন সময়ে আরও একবার এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ। করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ তহবিলে আপনার অনুদান চার হাজার দুঃস্থ মানুষকে অত্যন্ত সাহায্য করবে। উপকৃত হবে বিএমসির স্কুলগুলির কচিকাঁচারাও।’
উত্তরে টুইটারে শচীন লিখেছেন, ‘দিনমজুরদের পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে হাইফাইভ। ওদের জন্যও অনেক শুভেচ্ছা রইলো।’
এপ্রিলের শুরুতে মুম্বাইয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে পরের একমাসের জন্য ৫ হাজার মানুষের রেশনের ব্যবস্থা করেছিলেন মাস্টার-ব্লাস্টার। ‘আপনালয়’ নামক ওই সংগঠন মাইক্রোব্লগিং সাইটে শচিনকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি টুইটও করেছিল। যে টুইটে তারা লিখেছিল, ‘শচিন রমেশ টেন্ডুলকারকে অনেক ধন্যবাদ এমন লকডাউন সময়ে এগিয়ে আসার জন্য এবং আপনালয়কে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। আগামী একমাসের জন্য ৫ হাজার মানুষের রেশনের দায়িত্ব নিলেন উনি।’
আইএইচএস/