করোনার অর্থনৈতিক ধাক্কা কাটাতেই ফুটবল দরকার : রামোস

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৩ এএম, ১১ মে ২০২০

মহামারী করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরের রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন। এখনও পর্যন্ত দেশটিতে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। তবে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৭০ শতাংশ এবং মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৭ হাজার।

তবু ধীরে ধীরে লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল করে কর্মব্যস্ত জীবনে ফেরার পথে রয়েছে স্পেন। এমতাবস্থায় দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং করোনার কারণে হওয়ার আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে মাঠে ফুটবল ফেরার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন স্প্যানিশ অধিনায়ক সার্জিও রামোস।

স্পেনের সর্বোচ্চ ঘরোয়া লিগ লা লিগার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের তেবাস জানিয়েছেন, আগামী ১২ জুনের মধ্যে হয়তো পুনরায় শুরু করা যাবে এবারের লিগ। তবে রামোস চাইছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফুটবল শুরু করতে। কেননা এটি দেশের জন্যই এখন খুব প্রয়োজন।

মোভিস্টারকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রামোস বলেছেন, ‘সবকিছু আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময়ের প্রয়োজন। আর দেশের অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য এবং মানুষকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে এখন ফুটবল দরকার।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি আবারও মাঠে নামতে মুখিয়ে রয়েছি। আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে, যেন ভাইরাসটি নিশ্বেষ করে দেয়া। আপনজন হারানো সবাইকে আমি সহমর্মিতা এবং আবার সাপোর্ট জানাতে চাই। আমরা অবশ্য এ অবস্থা থেকে মুক্ত হবো এবং এজন্য একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।’

জার্মানির বুন্দেসলিগার ম্যাচগুলো শুরু হয়ে যাবে আগামী ১৬ মে থেকে। রামোসের পরামর্শ লা লিগা আয়োজকরাও চাইলে বুন্দেসলিগা থেকে শিক্ষা নিতে পারে। তবে যেকোন সিদ্ধান্তের আগে পরিবারের কথা ভাবারও পরামর্শ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক।

রামোস বলেন, ‘আমাদের নিয়ম মেনে অনুশীলন করতে হবে। সবাই এক হতে পারব না। এটা খানিক অস্বাভাবিক এবং জটিলও বটে। তবে পরিস্থিতির চাওয়া এটি। লা লিগাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। জার্মানি একটা উদাহরণ তৈরি করেছে, এটা অনুসরণ করা যায়। আমরা পরিবারের সঙ্গে থাকতে ভালোবাসি। তবে সবকিছু সমানভাবে চলা উচিৎ।’

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।