করোনাভাইরাস লাভজনকও হতে পারে : মেসি
করোনাভাইরাসের কারণে ১২ মার্চের পর থেকে আর কোন ম্যাচ হয়নি স্পেনের ঘরোয়া ফুটবলে। সব ক্লাবের খেলোয়াড়রা বন্দী ছিলেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিকতার দিকে আসছে বিধায় প্রায় দুই মাস বিরতির পর অনুশীলনে ফিরেছেন খেলোয়াড়রা।
গত শনিবার থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুশীলন করছে স্পেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। পুরোপুরি ভিন্ন ধারার এ অনুশীলনে নিজেদের মধ্যেও দেখাসাক্ষাৎ হচ্ছে না লিওনেল মেসি, জেরার্ড পিকেদের। সবাই যে যার মতো অনুশীলন করে ফিরে যাচ্ছেন বাড়িতে।
করোনার কারণে সবাই যখন অনেক ক্ষতির আশঙ্কায়, তখন মেসি বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে, করোনায় আসা এ দুই মাসের বিরতির সময়টা বার্সার জন্য মঙ্গলজনকও হতে পারে। তবে ঠিক কী কারণে এমনটা মনে করছেন তিনি, তা খোলাসা করেননি।
শুক্রবারের অনুশীলন শেষে স্পেনের খেলাধুলাভিত্তিক দৈনিক স্পোর্টকে মেসি বলেছেন, ‘হতেও পারে, এই বিরতির সময়টা শেষপর্যন্ত আমাদের (বার্সেলোনা) জন্য লাভজনকই দাঁড়াল। তবে আমাদের দেখতে হবে টুর্নামেন্টটা (লা লিগা) শুরু করতে পারছি কি না। এরপর হয়তো আমরা আসল সত্যটা জানতে পারব।’
মেসি খোলাসা না করলেও, ধারণা করা হচ্ছে দলের অন্যতম তারকা খেলোয়াড় লুইস সুয়ারেজ ইনজুরি থেকে ফিরতে বেশি সময় পাওয়ার কারণেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। যদিও এবারের অনুশীলনের শুরুতেই ইনজুরিতে পড়েছেন ফ্রেঞ্চ ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমতিতি।
এদিকে স্পোর্টকে করোনাভাইরাস লাভজনক হওয়া বিষয় মন্তব্য করা মেসি আবার মুন্ডো ডিপোর্টিভোতে বলেছেন, মানুষ যেন করোনাভাইরাস নিয়ে খুব বেশি না ভাবে। এমনটা করলে অন্যান্য কাজ আর কখনওই স্বাভাবিক হবে না বলে মনে করেন মেসি।
তিনি বলেছেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তো সবখানেই রয়েছে। আপনি যখন ঘর থেকে বের হচ্ছেন, তখনই সেখানে ঝুঁকি দেখা যায়। তাই আমার মতে, করোনার ব্যাপারে বেশি ভাবা উচিৎ নয়। কারণ যদি সব ভাবনা করোনার দিকে থাকে, তাহলে আপনি কোথাও যেতে পারবেন না।’
আরও যোগ করেন, ‘তবে হ্যাঁ, আমাদের এটা বুঝতে হবে যে, যাই করি না কেন, নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়া যায়। অনুশীলনে ফেরাটা আমাদের প্রথম ধাপ। তবে এতে বেশি নির্ভার হয়ে গেলে চলবে না। আমাদের সবধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’
এসএএস/এমএস