আজ রাতেই ফিরছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, শুরুতেই মহারণ
টানা ১০০ দিনের প্রতীক্ষা। অবশেষে সেই বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। বল গড়াতে চলছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ফুটবল লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময়) অ্যাস্টন ভিলা বনাম শেফিল্ড ইউনাইটেড ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে করোনা-পরবর্তী সময়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ।
তবে আজ সবার নজর থাকবে রাত সোয়া ১টায় শুরু হতে যাওয়া মহারণের দিকে। ওই ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম দুই সেরা ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি এবং আর্সেনাল।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসার পর সবার আগে ফুটবল মাঠে ফিরিয়ে ছিল জার্মান বুন্দেসলিগা। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে শুরু হয় বুন্দেসলিগার খেলাগুলো। তাদের দেখাদেখি ১১ জুন শুরু হয় স্প্যানিশ লা লিগা। একদিন পর মাঠে ফেরে ইতালিয়ান ফুটবলও। সর্বশেষ মাঠে ফিরতে যাচ্ছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগও।
পেপ গার্দিওলার দল ম্যানচেস্টার সিটি এ মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগে রয়েছে দুই নম্বরে। কিন্তু শিরোপা জেতার সম্ভাবনা তাদের নেই বললেই চলে। কারণ লিভারপুলের থেকে এতটাই পিছনে যে শিরোপার আশা কার্যত তাদের নেই। লিভারপুলের সঙ্গে তাদের ব্যবধান ২৫ পয়েন্টের। ২৯ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৮২। ২৯ ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানসিটির পয়েন্ট ৫৭। ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লেস্টার সিটি।
আজ ম্যানসিটির বিপক্ষে আর্সেনাল জিতলে কিন্তু আখেরে লাভ হবে লিভারপুলেরই। কারণ, তাতে করে আগামী রোববার এভার্টনকে হারালেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করবে লিভারপুল। সুতরাং এখন গার্দিওলার দলের চ্যালেঞ্জ লিভারপুলের শিরোপা জয় কতটা পিছিয়ে দিতে পারে, সে চেষ্টা করা।
শুধু আজকের ম্যাচের জন্যই ম্যানসিটি মাঠে নামবে অন্য জার্সি পরে। স্পন্সর ইত্তিহাদের লোগোর পরিবর্তে লেখা থাকবে ‘সিটিজেন্স গিভিং ফর রিকভারি’। সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষ মুক্ত হচ্ছে। সে কথা মাথায় রেখেই এই প্রচারণা চালাবে ম্যানসিটি।
এর মধ্যেই গার্দিওলাকে খুঁজতে হচ্ছে আর্সেনালকে রুখে দেওয়ার চাবিকাঠি। গার্দিওলার কথায়, ‘অবশেষে এই রুটিনে ফিরতে পেরে খুশি। সবাই যেভাবে জীবন কাটাচ্ছিল, আমিও সেভাবে ছিলাম।’
তার সহকারী মাইকেল আর্তেতাই এখন আর্সেনালের কোচ। সে প্রসঙ্গে গার্দিওলার মন্তব্য, ‘আমি ভীষণ উচ্ছ্বসিত, তাকে আবার আমাদের মাঠে দেখতে পাব। ভালো লাগছে সে এখন খুশি এবং দারুণ কাজ করছে। ঘণ্টা দেড়েক আগেই তার সঙ্গে কথা হলো। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের নিয়মে অনুমতি পেলে আমরা ম্যাচের পর ওয়াইন খেতে যাব।’
করোনাভাইরাসের কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই মাঠে নামছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। তবে সাবেক বার্সা কোচ এর আগে বলেছিলেন, তিনি সমর্থক ছাড়া ফুটবলের পক্ষে নন।
কিন্তু মঙ্গলবার বলছেন, ‘যে সময় মন্তব্যটা করেছিলাম, তখন সবাই বোঝেনি পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে। মানুষের স্বাস্থ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্পেন, জার্মানি, ইংল্যান্ডে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমরা খেলব। তাই খেলছি। পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে।’
আইএইচএস/