গাংনীতে কনস্টেবল হত্যাকাণ্ডের মাইক্রোবাস উদ্ধার : জানাজা সম্পন্ন
মেহেরপুরের গাংনীর পিরতলা পুলিশ ক্যাম্পের কনস্টেবল আলাউদ্দীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের একটি বাঁশবাগান থেকে মাইক্রোবাসটি আটক করে মেহেরপুর জেলা পুলিশ। তবে আত্মগোপনে রয়েছে মাইক্রোবাসের চালক ও যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থল থেকে গত রাত সাড়ে বারোটার দিকে বস্তা ভর্তি ৩৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের লাশ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেহেরপুর পুলিশ লাইনে পোঁছায়। সেখানে বাদ যোহর তার জানাজার নাম অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হামিদুল আলমসহ পুলিশের কমকর্তা ও সদস্যরা জানাযায় অংশ নেয়। জানাজা শেষে কুষ্টিয়া জেলার খলিশাকুন্ডি গ্রামে তার নিজ বাড়িতে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান জানান, ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছিল। অভিযানের এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বারইপাড়া গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই গ্রামের আনিছের বাড়ির কাছে একটি বাঁশ বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করা হয়। যার নং কুষ্টিয়া চ-০২-০০১১। ধারণা করা হচ্ছে রাতে ঘটনার পর মাইক্রোবাসটি ফেলে পালিয়ে যায় মালিক আনিসসহ তার সঙ্গীয় মাদক ব্যবসায়ীরা। মাইক্রোবাসটি হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য হিসেবে আটক দেখিয়ে গাংনী থানায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। যেহেতু বাসের চালক আনিসই মাইক্রোবাসটির মালিক। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলেই হত্যার আসল ঘটনা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গেল রাত পৌনে আটটার দিকে গাংনী উপজেলার সাহেবনগর নামক স্থানে সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাস থামায় কনস্টেবল আলাউদ্দীন। এসময় মাইক্রোবাসের যাত্রীবেসী দুর্বৃত্তরা তাকে মাইক্রোবাসের মধ্যে তুলে নিয়ে কুপিয়ে কিছু দূরে ফেলে সটকে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দশটার দিকে আলাউদ্দীনের মৃত্যু হয়।
এমএএস/আরআই