এমপি হয়েই লতিফ জামায়াত ও মাফিয়া কানেকশনে সক্রিয়


প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর এম এ লতিফ জামায়াত ও মাফিয়া কানেকশনে আরও সক্রিয় হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মাফিয়া, চোরাচালানি ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রের হাতে তুলে দিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

শনিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মহিলা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পত্নী হাসিনা মহিউদ্দিন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ। সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ করা মামলার আসামি সরকারদলীয় সাংসদ এম এ লতিফর শাস্তির দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহিউদ্দিন পত্নী হাসিনা মহিউদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে তিনি লতিফকে ‘পাকিস্তানি প্রেতাত্মা’ বলেও অভিহিত করেন। এই প্রথম আওয়ামী লীগের কোনো সহযোগী সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে লতিফ ইস্যুতে তাদের অবস্থান ব্যক্ত করলো।
 
হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, সরকার দলীয় সাংসদ হয়ে নিজের ছবির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মুখমণ্ডলকে সংযুক্ত করে এবং বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি কাবুলি পোশাক পরিয়ে লতিফ ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন জাতিকে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে।

এম এ লতিফ একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর উল্লেখ করে হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, তিনি আওয়ামী লীগের টিকেটে সাংসদ হওয়ার পর মনে করেছিলাম অন্য অনেকের মতো তিনিও শুব্ধ হবেন, কিন্তু হননি।তার কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে আমরা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আবারও একজন পাকিস্তানি প্রেতাত্মার কাছে জিম্মি হয়ে গেছি।

হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন কিছু হাইব্রিড দুর্জন বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতকারীর পক্ষাবলম্বন করেছেন। তাদের অতীত-বর্তমান জানা আছে। সময়মতো তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবে।

তাদের মধ্যে একজন বঙ্গবন্ধুর ছবিকে বিকৃত করার স্পর্ধা দেখিয়েছে। তার বিচার ও শাস্তির দাবিতে লড়াইয়ে শামিল হতে সব মা-বোনদের আহ্বান জানান তিনি।

মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি থাকবে কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ যে কর্মসূচি দেবে আমরা তাতে একাত্মতা ঘোষণা করবো। পরে প্রয়োজনে আমরা রাস্তায় নামবো।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আঞ্জুমান আরা চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইনামুল হক দানুর স্ত্রী শামসুন্নাহার দানু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর নীলু নাগ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমতাজ বেগম, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা লীগের আহ্বায়ক নূর ই আরা এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক রহমতুন্নেছা।

জীবন মুছা/এমজেড/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।