নাশকতাকারীদের চাকরির ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশনে কঠিন হবে


প্রকাশিত: ০৬:২৫ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রাজনৈতিক বিচেনায় নয়, নাশকতাকারীরা যে দলেরই হউক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং নাশকতাকারীদের চাকরির ক্ষেত্রে ভেরিফিকেশনে কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক মহাপরিদর্শক  এ কে এম শহীদুল হক।

বৃহস্পতিবার সার্কভুক্ত দেশগুলোর অংশগ্রহণে মিরপুরস্থ পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম : সার্ক পার্সপেক্টিভ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শহীদুল হক বলেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, নাশকতার সঙ্গে জড়িত তাদের চাকরির ক্ষেত্রে কঠিন পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে কিন্তু চাকরি পেয়েছেন কিংবা চাকরি করছেন তাদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, যারা চাকরি পেয়েছেন তারা তো পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষেই চাকরিতে যোগদান করেছেন।

জামায়াত-শিবির করেন কিন্তু মামলার আসামি নয় এমন নাগরিকরা কি সরকারি চাকরি পাবেন? জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, কে বিএনপি কে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে যুক্ত তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তিনি নাশকতার সঙ্গে জড়িত কি না? মামলার আসামি কিংবা অপরাধী না হলে তাদের চাকরিতে কোনো বাধা নেই।

ইউপি নির্বাচনে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে কি ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ইউপি নির্বাচনে সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপক্ষেভাবে যাতে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য নিরপেক্ষ পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। কোনো ধরণের নাশকতা যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় আইনশৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত পুলিশ প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা হয়েছে।


এর আগে ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম: সার্ক পার্সপেক্টিভ” শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও সন্ত্রাস দুটি ভিন্নমাত্রিক বিষয়। সংঘবদ্ধ অপরাধ অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও মান পাচারের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তবে সন্ত্রাসবাদ বহুমাত্রিক আঞ্চলিক অপরাধ দ্বারা প্রভাবিত।

আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে অপরাধীরা গোটা বিশ্বকে তাদের চারণভূমি হিসেবে বিবেচনা করে। যে কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র ভৌগলিক সীমারেখাকে অতিক্রম করে সক্রিয় থাকে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগীতার ক্ষেত্রকে সুসংহত ও প্রসারিত করতে হবে। কেন না আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলের সৌহার্দ, সামাজিক সম্প্রীতি ও আঞ্চলিক বন্ধু্ত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন দ্বিপাক্ষিক ও বহুমাক্ষিক সহযোগীতা। যা আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ দমনে মূখ্য ভূমিকা পালন করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আমরা পাকিস্তানকে সার্কভুক্ত দেশসমূহের আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আমন্ত্রণ জানানোর পরও কোনো প্রতিনিধি পাঠান নি। অপরাধ দমনে তাদের অসহযোগিতা আঞ্চলিক অপরাধ দমনের ক্ষেত্রকে বাধাগ্রস্থ করবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কার ২ জন করে মোট ৬ জন ও বাংলাদেশ থেকে ১১ জনসহ মোট ১৭ পুলিশ কর্মকর্তা অংশ নেয়।

জেইউ/এআরএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।