থানায় ঢুকে ব্যবসায়ীকে পেটালো আ.লীগ নেতা
লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি থানার ভেতরে ঢুকে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগকারীরা জানান। এদিকে, থানায় ব্যবসায়ীকে মারধর করলেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। তবে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে ওই ব্যবসায়ী প্রাণে বেঁচে যান।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ভুক্তভোগী ফয়েজ আহম্মেদ (৫৫) চন্দ্রগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের মৃত উজির আলীর ছেলে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ১০০ গজ দূরে তার অর্ধকোটি টাকা মূল্যের একটি দোকান-ঘর রয়েছে। ওই দোকানটি আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান নিজাম দীর্ঘদিন ধরে জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। আর এ নিয়ে থানায়ও অভিযোগ রয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে দোকানে রং করার সময় নিজাম ৬/৭ জন লোক নিয়ে ফয়েজ আহম্মেদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে ফয়েজ দৌঁড়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভেতরে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে নিজাম তার লোকজন নিয়ে থানায় ঢুকে ওই ব্যবসায়ীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে স্থানীয় ৬/৭ লোক এগিয়ে আসলে ফয়েজ রক্ষা পায়। কামরুজ্জামান নিজাম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
চন্দ্রগঞ্জ কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি কাজী মোস্তফা কাজল জানান, তিনিসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী এগিয়ে আসার কারণে ফয়েজ প্রাণে রক্ষা পেয়েছে। থানার ভেতরে ঢুকে এভাবে মানুষকে মারধর অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
আহত ফয়েজ জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম তার দোকান ঘর জবর দখলের চেষ্টা করছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সে পুলিশেরও নিষেধাজ্ঞাও মানছেন না। সম্প্রতি বিষয়টি জেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন। থানায়ও তিনি অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে কামরুজ্জামান নিজামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান মিয়া জানান, তিনি বিকেল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর ছিলেন। থানার ভেতরে ঢুকে কাউকে মারধরের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে থানার বাইরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছেন তিনি।
কাজল কায়েস/এআরএ/এএইচ/এমএস