নারীদের আকাশ জয়


প্রকাশিত: ০৯:০০ এএম, ০৮ মার্চ ২০১৬

আকাশপথে বিমানবালা কিংবা কেবিন ক্রু হিসেবে মেয়েদের চাহিদা ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি।

কারণ হিসেবে জানা গেছে, আন্তরিকতা ও ধৈর্য এ দুটি গুণের সম্মিলন রয়েছে নারীদের আচরণে। শুধু তাই নয়,  নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে পুরুষের চাইতে নারীরা এগিয়ে। এসব বাস্তবতায় এয়ারলাইন্সগুলোতে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টসে  নারীদের প্রাধান্য।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এভিয়েশন ফর সেফটির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিমান ওড়ার সময় নারীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি থাকলে জ্বালানী খরচ কমে যায়।

Mukta

গবেষণায় দেখা গেছে, বিমানে নারী বেশি থাকলে জ্বালানি খরচ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কম হয়। কেননা তাদের ওজন পুরুষ চেয়ে অনেক কম। একই গবেষণায় বলা হয় যাত্রীরা পুরুষের চেয়ে নারী ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের বেশী পছন্দ করেন। এসব বিবেচনায় বিশ্বের প্রায় সবগুলো এয়ারলাইন্সই কেবিন ক্রু বা ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস পাইলট হিসেবে নারীদেরই প্রাধান্য দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশে আকাশ পথে বিপ্লব ঘটানো বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারেও রয়েছে এক ঝাঁক নারী কেবিন ক্রু বা ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস। এয়ারলাইন্সটির কেবিন ক্রু বা ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টসের প্রায় ৮০ শতাংশই নারী। এমনকি গ্রাউন্ড সার্ভিস ম্যানেজার হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন মুক্তা ওয়াহিদ নামের এক নারী কর্মকর্তা।  

ঢাকা ‍বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে মুক্তা ওয়াহিদ কেবিন ক্রু হিসেবে যোগ দেন বেসরকারি এয়ারলাইন্স জিএমজিতে। পরে অফার পান সউদী এয়ারলাইন্সে। দীর্ঘ পাঁচ বছর সুনামের সঙ্গে কাজ করেন সেখানে। বর্তমানে নভোএয়ারের প্রায় অর্ধশতাধিক কেবিন ক্রু বা ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস কাজ করেন তার অধীনে।

Mukta

সফল নারী কেবিন ক্রু হিসেবে অনুভূতি জানতে চাইলে মুক্তা ওয়াহিদ জাগো নিউজকে বলেন, ছোট বেলা থেকেই আকাশে উড়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলাম।
 
অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে বাবা মারা না গেলে হয়তো ককপিট ক্রু হতাম। তারপরও স্বপ্ন লালন করেছি কেবিন ক্রু হওয়ার।
নারী দিবস সম্পর্কে মুক্তা ওয়াহিদ বলেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ। নারী দিবসের কামনা নারী বা পুরুষ নয়, সবাই যেনো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখে।  

আরএম/এমএমজেড/এএইচ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।