স্ন্যাপচ্যাটের বিশেষ ফিচার ব্যবহারে এখন টাকা খরচ করতে হবে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপচ্যাট

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে স্ন্যাপচ্যাট। নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হওয়ায় এটি ব্যবহারেও এসেছে নতুনত্ব। ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করে প্ল্যাটফর্মটি। তবে এবার ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো স্ন্যাপচ্যাট।

এই অ্যাপের বড় আকর্ষণ ছিল, ছবি বা ভিডিওর বিনামূল্যের ব্যাকআপ। কিন্তু সেদিন শেষ হতে চলেছে। স্ন্যাপচ্যাটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবার থেকে মেমোরি স্টোরেজ করতে গেলে খসাতে হবে পকেটের টাকা। যেভাবে গুগল ক্লাউড ও আইক্লাউডে টাকার বিনিময়ে স্টোরেজ পাওয়া যায়, সেভাবেই স্ন্যাপচ্যাটেও এবার স্টোরেজ কিনতে হবে ব্যবহারকারীদের।

তবে বিনামূল্যে ফাইল যে একেবারেই সেভ রাখা যাবে না তা নয়। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্টোরেজ ৫ জিবি। এর বেশি হলেই অর্থের বিনিময়ে স্টোরেজ কিনতে হবে। গুগলের মতোই ব্যাপারটা। তবে গুগল ব্যবহারকারীদের ১৫ জিবি ফ্রি স্টোরেজ দিয়ে থাকে। সেখানে স্ন্যাপচ্যাট মাত্র ৫জিবি দেবে।

তিন ধরনের স্টোরেজ কেনা যাবে। ১০০ জিবি, ২৫৬ জিবি এবং ৫ টিবি। এর মধ্যে ১০০ জিবির খরচ পড়বে ১.৯৯ ডলার প্রতি মাসে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ২৪২ টাকা। ২৫৬ জিবির জন্য খরচ পড়বে মাসিক ৬ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭২৭ টাকা। অন্যদিকে স্ন্যাপচ্যাট প্রিমিয়াম ৫টিবি কেনা যাবে মাসিক ১৬ ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ হাজার ৯৪০ টাকা।

এই সিদ্ধান্তে ব্যবহারকারীরা মোটেই খুশি হতে পারছেন না। অনেক বছর ধরে তাদের নানা ছবি-ভিডিওর মেমোরি সেভ করা আছে স্ন্যাপচ্যাটে। কিন্তু এবার অর্থ খরচ না করলে সেই ব্যাকআপ আর থাকবে না। ফলে হারাতে পারেন মেমোরি।

তবে এখনই তা বন্ধ হচ্ছে না। স্ন্যাপচ্যাটারদের ১২ মাসের অস্থায়ী স্টোরেজ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এরপর থেকে আপগ্রেড না করলে মেমোরি থেকে মুছে দেওয়া হবে সব ছবি-ভিডিও। পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, এখনই সব ফাইল ডাউনলোড করে নেওয়ার জন্য।

আরও পড়ুন
সোশ্যাল মিডিয়া নজর রাখছে আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও
পানি ছাড়াও যেসব কারণে স্মার্টফোন নষ্ট হতে পারে

সূত্র: বিবিসি

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।